মোদির হুমকির পর পাল্টা হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
মোদির হুমকির পর পাল্টা হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের 

পেহেলগাম ইস্যুতে টানা দুই সপ্তাহের বেশি উত্তেজনা ও সংঘাতের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানকে আবারও হুমকি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে আবারও পাকিস্তানের সীমানায় হামলা চালাবে ভারত।

মোদির এমন হুমকির পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানও। মঙ্গলবার (১৩ মে) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানের ওপর ভবিষ্যতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে। আঘাত যত শক্ত হবে, প্রতিঘাত তত কঠিন হবে।

সোমবার মোদি তার ভাষণে পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, যদি ভারতের ওপর আবার কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয় তাহলে সীমান্তে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানায়’ আবারও হামলা চালাবে ভারত। এ ক্ষেত্রে পারমাণবিক হামলার ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। মোদির এই মন্তব্যের পর মঙ্গলবার এর প্রতিবাদ জানায় ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোদির ভাষণের সমালোচনা করে বলেছে, মোদির বক্তব্য উসকানিমূলক। যখন এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলছে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য উত্তেজনা বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করে। পাকিস্তান বর্তমান যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, উত্তেজনা নিরসন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতের যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়া হবে। আঘাত যত শক্ত হবে- প্রতিঘাত তত কঠিন হবে।

এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ভারতকে খোচা দিয়ে বলেছেন, পাইলটদের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না। ভারত আঞ্চলিক আধিপত্য দেখাতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তান অঞ্চলিক কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। পাকিস্তানি সাহসী সেনারা জানে কীভাবে দেশের সম্মান রক্ষা করতে হয়।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তানও। 

আরএস