রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা ও ট্রাম্প-পুতিনের শান্তি উদ্যোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৫, ০২:০২ পিএম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা ও ট্রাম্প-পুতিনের শান্তি উদ্যোগ

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে, যার ফলে উভয় পক্ষই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। 

সম্প্রতি, ইউক্রেনের "স্পাইডারওয়েব" নামে একটি গোপন ড্রোন অভিযানে রাশিয়ার চারটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৪০টিরও বেশি সামরিক বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এই অভিযানে রাশিয়ার প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪৭৯টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অন্তত ১২ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছে।  

এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। 

দুই নেতা ৩০ দিনের একটি সীমিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছেন, যার আওতায় রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি ও অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বন্ধ রাখবে।  

তবে, পুতিন এই যুদ্ধবিরতির জন্য কিছু শর্ত দিয়েছেন, যেমন ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সামরিক সহায়তা বন্ধ করা এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন না করা। 

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ইউক্রেন এই সময়টিকে পুনরায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারে।  

ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে আলোচনায় ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউক্রেনে মোতায়েনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে, যেখানে পুতিন এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।  

এই আলোচনা ও সীমিত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তবে পুতিনের শর্তাবলি ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে চূড়ান্ত সমাধান এখনও অনিশ্চিত। 

যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি

উভয় পক্ষই ব্যাপক সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। 

শান্তি আলোচনা

ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ৩০ দিনের সীমিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মতি হয়েছে। 

পুতিনের শর্ত

ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সামরিক সহায়তা বন্ধ করা এবং সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন না করা। 

ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী

পুতিন ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। 

চূড়ান্ত সমাধান

পুতিনের শর্তাবলি ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে চূড়ান্ত সমাধান এখনও অনিশ্চিত। 

এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন ট্রাম্প ও পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে, যা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ইএইচ