ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বিবৃতি উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্বার্থকে সহিংসভাবে লঙ্ঘন করেছে।”
উত্তর কোরিয়া আরও বলেছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার ঘোরতর লঙ্ঘন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতভাবে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
এর আগে, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে গত ২১ জুন মধ্যরাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন রাতে ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের ওই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র এবং আবাসিক ভবনে আঘাত হানে ইসরায়েলি বাহিনী।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদসহ অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ৪০০’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে স্থানীয় সূত্র।
এর জবাবে গত শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে পাল্টা অভিযান চালায় ইরান। দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে ইসরায়েল। হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও হামলায় কৌশলগতভাবে ইসরায়েল বড় ধাক্কা খেয়েছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
ইএইচ