হুইল চেয়ারে করে আদালতে মামুনুল হক

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২, ০৭:৪৪ পিএম
হুইল চেয়ারে করে আদালতে মামুনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার মোসলে উদ্দিন হত্যা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকসহ ১১০ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলামের জেরা অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আগামী ৩ আগস্ট অবশিষ্ট জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। 

বুধবার সকালে মামুনুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ারে করে তাকে আনা হয়। রাখা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়। দুপুর আড়াইটার দিকে হুইল চেয়ারে করে তাকে এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়। মামুনুল হককে দেখতে আদালতে হাজির হন তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ শিক্ষার্থীরা। 

জানা গেছে, কোমরের ব্যথায় ভুগছেন মামুনুল হক। হাঁটা-চলায় তার সমস্যা হয়। এজন্য তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে দলের নেতাকর্মীরা ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানাধীন কিয়াংসী চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে রাস্তার অপর পাশে মিরপুর থানাধীন ছলিমুদ্দিন মার্কেটের গলির মুখে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ও হাতবোমা ছুঁড়তে থাকে। এতে জখম হন মোসলে উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মোসলে উদ্দিনের মেয়ের জামাই মো. মিন্টু মোল্লা ওই দিনই মিরপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ১১০ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।