যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নেত্রকোনার খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে খলিলুর রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন।
২৫২ পৃষ্ঠার রায়ে খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও একটি অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরুর পরপরই খলিলুর রহমান আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ সাত বছর সে নানা কৌশলে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় পালিয়ে ছিলেন।
তাকে যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরতে না পারে সেজন্য মোবাইল ব্যবহার করতেন না। খলিলুরের সন্তানরা মাঝে মাঝে বাবার সাথে কৌশলে দেখা করে খরচের টাকা দিয়ে যেতেন। তার বিরুদ্ধে ২২টি হত্যাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।
টিএইচ