মমতাজকে আদালতে তোলার সময় ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
মমতাজকে আদালতে তোলার সময় ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান

ছাত্র হত্যায় মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে তোলা হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ কিছু আইনজীবী ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান দিয়ে মমতাজের দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। 

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে তাকে আদালতে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে মমতাজকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়ে। এ দিন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নং গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন মো. সাগর। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এসময় ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে পেছন দিকে বের হয়ে যায়। তার মা মোসা. বিউটি আক্তার তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে ওইদিন দিবাগত রাত ৩টায় মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার লাশের সন্ধান পান তিনি। পরে সন্তানের লাশ গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করেন।

এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় মমতাজ বেগম ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি।

২০০৮ সালে শিল্পী মমতাজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মানিকগঞ্জ-২ আসনে থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান মমতাজ।

আরএস