রং ফরসাকারী ক্রিম ব্যবহারে গায়ের রং খুব কমই ফরসা হয়। অনেক সময় এই ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করে দিলেও ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের কোনো অংশ সাদা আবার কোনো অংশ কালো হয়ে যায়। এই ক্রিম ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে পরবর্তী সময়ে গায়ের রং আরো কালো হয়ে যেতে পারে।
চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝুঁকিতে আছেন যারা
- যাদের গায়ের রং কালো বা শ্যামলা
- ফরসা যাঁদের হতেই হবে বলে বিশ্বাস করেন
- মেছতা বা মুখে যেকোনো দাগ আছে যাদের
- ব্রণ আছে যাদের।
কেন ক্ষতিকর?
ফরসা হওয়ার ক্রিমে মার্কারি, লেড, স্টেরয়েড, নানা প্রিজারভেটিভসহ অজস্র রাসায়নিক থাকে; যা ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
যে ধরনের ক্ষতি হতে পারে
- ত্বকে ফুস্কুড়ি হওয়া
- রং বদলে যাওয়া
- কালশিটে দাগ পড়া
- ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যাওয়া
- উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, বিষণ্নতা, মানসিক অস্থিরতা থেকে বৈকল্য
- এ ধরনের স্টেরয়েড মেশানো ক্রিম অকারণে মুখে মাখতে মাখতে পাতলা হয়ে যেতে পারে
- ত্বক, অতিরিক্ত সূর্যসংবেদী হতে পারে ত্বক
- ব্রণ ও অবাঞ্ছিত লোম
- মুখে মেছতা পড়তে পারে
- পাশাপাশি মুখে, গলায়, হাতে বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি, র্যাশ হয়
- ত্বক শুকিয়ে গিয়ে নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে
- যারা নিয়মিত ফরসা হওয়ার ক্রিম মাখেন, তাদের চোখে জ্বালা থেকে শুরু করে নানা রকম অসুবিধা হতে পারে
- মার্কারি থেকে ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি সফট টিস্যুরও সমস্যা হয়
- এমনকি ত্বকের ক্যান্সারের শঙ্কাও হয়
- রং ফরসাকারী ক্রিমের কারণে দেখা যায় অনেকে রোদে বের হতে পারছেন না বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারছেন না।
এ ধরনের পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে শুরু থেকেই একজন স্কিন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য বাজারের বিভিন্ন নামে-বেনামে রং ফরসাকারী ক্রিম ব্যবহার না করে একজন ত্বক চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়মিত স্কিন কেয়ার রুটিনটা করুন।