জিতুর বয়স ১৬ নয় ১৯ বছর: র‌্যাব

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ০৬:২৭ পিএম
জিতুর বয়স ১৬ নয় ১৯ বছর: র‌্যাব

 র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলছেন, জিতুর জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে যে জন্মতারিখ রয়েছে, তা এজাহারের সঙ্গে মিলছে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ঢাকার কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জিতুকে গ্রেফতারের পর তার কলেজ থেকে জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়। সেখানে তার জন্মতারিখ রয়েছে ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি।

সে অনুযায়ী তার বয়স ১৯ বছর। কিন্তু মামলার এজাহারে লেখা ১৬ বছর।

ঢাকার আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যায় মামলার এজাহারে আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতুর বয়স ১৬ বছর লেখা হলেও র্যা ব তার বয়স ১৯ বছর বলে জানানো হচ্ছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা আল মঈন বলেন, তার শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন সময় ব্রেক ছিল। প্রথমে তাকে স্কুলে ভর্তি করে পরিবার। দ্বিতীয় শ্রেণিতে তাকে জোর করে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়।

এর পর তাকে আবার স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। এ ছাড়া তার উচ্ছৃঙ্খল জীবন ও বেপরোয়া চলাফেরার কারণেও শিক্ষাজীবনে ছেদ পড়ে।

কমান্ডার মঈন বলেন, বয়স ১৯ নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাব অপরাধী হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেছে। এখন বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবে। তবে আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে এই সার্টিফিকেট নিয়েছি।

প্রস্ঙ্গত, শনিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় হাজিউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই স্কুলের শিক্ষক উৎপল সরকারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জিতু। পরে চিকিৎসাধীন সোমবার ভোরে মারা যান উৎপল।

এ ঘটনার পর স্কুলশিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে শামিল হন। মামলায় জিতুর বয়স ১৬ লেখার বিষয়টি নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন।

আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সি অপরাধের বিচার হয় কিশোর আইনে। সেই সুবিধা পাইয়ে দিতে জিতুর বয়স কম দেখানো হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও স্থানীয়রা তুলেছেন।