গোসাইরহাটে মাল্টা চাষে সফল শাহে আলম

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম
গোসাইরহাটে মাল্টা চাষে সফল শাহে আলম

বাগানে সারি বদ্ধ মাল্টার গাছ। প্রতিটি গাছের ডালে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে রয়েছে পাকা ও আধাপাকা মাল্টা। শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের মো. শাহে আলমের মাল্টা বাগানে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।

চাষি মোঃ শাহে আলম বলেন, বিভিন্ন জাতের ফলে ফরমালিন ব্যবহারের হিরিক পরে। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক। মানুষ এখন নিরাপদ ফল খাওয়ার কথা ভুলেই গেছে। ভেজালমুক্ত ফল উপহার দেওয়ার কথা চিন্তা করেই কৃষি বিভাগের সহযোগীতা নিয়ে মাল্টার বাগান করেছি। অল্প পরিশ্রমে কম খরচে মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। আমার বাগানে বারি-১ ও থাইল্যান্ড জাতের ৭০টি মাল্টার গাছ রয়েছে। চারা রোপণের তিন বছর পর ফলন শুরু করে। তিন বছর পর গাছে পূর্ণাঙ্গরূপে ফল ধরা শুরু করে। প্রতিটি গাছে ২০০ থেকে ৩০০টি ফল আসে।

উত্তর হলইপট্টির ব্যবসায়ী মোঃ সজিব খান জানান, গ্রামে প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করেছেন শাহে আলম। এর আগে কেউ মাল্টা চাষ করেনি। তার বাগানে প্রচুর মাল্টা ধরেছে। সাইজেও বেশ বড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শাহে আলম মাল্টার পাশাপাশি সৌদি আরবের খেজুর, ড্রাগন ফল,আম ও কলার বাগান করেছে। বাগানের মধ্যে বিভিন্ন ফলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। তার বাগান দেখে অনেকেই মাল্টা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই তার বাগান ঘুরে দেখতে আসেন।

গোসাইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, মাল্টা চাষ করে মো. শাহে আলম খান সফল হয়েছেন। কৃষি বিভাগ সব সময় তাকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তার বাগানে গিয়ে দেখেছি মাল্টাগুলো পাকা শুরু হয়েছে। পরিপক্ক না হওয়া পর্যন্ত বাজারজাত না করার পরামর্শ দিয়েছি।

এসএম