বছরে ১৬ লাখ মেট্রিকটন চাল নষ্ট হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৩:৫৯ পিএম
বছরে ১৬ লাখ মেট্রিকটন চাল নষ্ট হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল কলগুলোতে প্রক্রিয়াকরণের সময় পালিশের কারণে বছরে ১৬ লাখ মেট্রিকটন চাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই চাল থাকলে বছরে চাল আমদানি করতে হতো না। অতিমাত্রায় পালিশের কারণে সাধারণ চালে আর পুষ্টিগুণ থাকছে না। এজন্য সরকারকে চালের মধ্যে ভিটামিন যুক্ত করতে হচ্ছে। সবাইকে এতে সচেতন হতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পর্যটন কনফারেন্স হলে বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে, তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। সারাদেশে বছরে চার কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিলাররা বলেন, চাল চিকন করতে গিয়ে ৪-৫ শতাংশ হাওয়া হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল হাওয়া হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না।

দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী জানান, দুর্ভিক্ষ হবে বলে দেশকে অস্থিতিশীল করলে সরকার বসে থাকবে না। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে দু’বছরের মধ্যে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধান উৎপাদন ও বাজারজাত করণে অবদান রাখায় ৬ ক্যাটাগরিতে ২৪জনে পুরস্কার দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। ১১ জন কৃষক, ৩ জন চালকল মালিক, ১ জন এলএসডি, ৭ জন উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এই সম্মাননা পেয়েছেন। 

 এআই/এবি