নান্দাইলে জমি দখলে নিতে কৃষক পরিবারকে হয়রানি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
নান্দাইলে জমি দখলে নিতে কৃষক পরিবারকে হয়রানি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় কোন ধরনের কাগজ পত্রাদি বা দলিলাদি ছাড়া জমি দখলে নিতে দীর্ঘদিন যাবত এক কৃষক পরিবারকে হয়রানি করে আসছে প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে কৃষক পরিবার প্রতিপক্ষের এমন অত্যাচার ও নির্যাতন সইতে না পেরে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ দরবার বসায়। কিন্তু প্রতিপক্ষ উক্ত সালিশ দরবারে না আসায় এর কোন সুরাহা হচ্ছে না। এমনটি ঘটেছে উপজেলার ৮নং সিংরইল ইউনিয়নের পূর্বনদীর পাড় গ্রামে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বনদীর পাড় গ্রামের কৃষক পরিবার মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র হারুন অর রশীদের সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত আক্তার হোসেনর পুত্র জাকির হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন ও আহাম্মদের পুত্র হাবি মিয়া গংদের জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন সময়ে কৃষক হারুন অর রশীদের সিংরইল মৌজার ৩৪৩ খতিয়ানের ১৫১৩ দাগে ২৮ শতক জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভূমির কোন কাগজপত্রাদি ছাড়াই কৃষক পরিবারের জমি দখলে নেওয়ার জন্য যেকোন সময় হারুন রশিদের দখলীয় জমিতে প্রবেশ করে হট্টগোল সহ অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। 

এছাড়া হারুন অর রশিদের দখলীয় জমির পজিশনে ও দখলীয় সরকারি খাস পরিত্যক্ত ডোবাতেও অনধিকার প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের গোলযোগ সৃষ্টি সহ মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে উক্ত কৃষক পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানি করছে। 

এ বিষয়ে কৃষক হারুন রশিদ বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার প্রতিবেশী হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে জানাই। কিন্তু প্রতিপক্ষরা সালিশ-দরবার মানে না। এছাড়া ভূমির কোন কাগজপত্র না থাকায় তারা সালিশে আসেও না। বরং প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক আমার দখলীয় ভূমিতে প্রবেশ করে গোলযোগ তৈরী, বিভিন্ন হামলা-মামলা সহ প্রাণনাশের হুমকী দেয়। অথচ আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমরা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছি এবং বি.আর.এস রেকর্ডেও আমার বাবার নাম রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দু-পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

অপরদিকে জাকির হোসেন কৃষক হারুন অর রশিদ উক্ত ভূমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করেন। 

কেএস