কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলার সাবেক চেয়াারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
গেল মাসের ২৫ অক্টোবর বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কারণ দর্শন নোটিশ প্রদানের ৭ কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্ত ২ সপ্তাহ পার হলেও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা এখনো কারণ দর্শানোর কোন জবাব দেন নাই।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সময়ে সতর্ক সত্বেও নির্দেশনা অমান্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রকাশ্যে অশালীন বক্তব্য প্রদান করেছেন। ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন প্রমান জেলা আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামীগের প্রভাবশালী এক নেতা জানান, মাঠ পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে বিভিন্ন সময় অশালীন ও অসাংগঠনিক বক্তব্য দিয়েছেন যা নিজেদের দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তাকে কেন সাময়িক বহিষ্কার করা হবে না এ ব্যপারেও নোটিশে উল্ল্যেখ করা হয়েছে।
সাবেক রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ বর্তমান জেলা আওয়াামী লীগ কমিটির সদস্য ছাড়া আর কোন দলীয় পদে নেই তিনি। এর আগে তিনি রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতিকালে তিনি বিভিন্ন সময় আওয়াামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিভিন্ন সভা সমাবেশে রামপাল ও মোংলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। যে কারনে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট ও শৃংখলা ভংগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ও রামপাল এবং মোংলার উপজেলার আওয়ামী লীগের একাধিক সদস্য জানান, জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কারের মতামত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অম্বরেশ রায় এর সঙ্গে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মোঃ আবু সাঈদ অশালীন এবং অসাংগঠনিক বক্তব্য দেওয়ার কারণে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ২ সপ্তাহ আগে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্ত এখনো তার কোন জবাব তিনি দেননি।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগর সদস্য ও সাবেক রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আবু সাঈদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন বক্তব্য বা আচার-আচরণ জানা মতে আমি করিনি ও করবো না। জেলা আওয়ামী লীগের কারণ দর্শানোর নোটিশে ২৫ অক্টোবর ২০২৩ উল্লেখ করে চিঠি দিলেও পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে আমি হাতে পেয়েছি ৭ই নবেম্বর। জেলা আওয়ামী লীগের এই নোটিশের জবাব অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে।
আরএস