আইনমন্ত্রী

দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে হবে

দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

আনিসুল হক টানা তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও অ্যাসিসটেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেলরা (এএজি) বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তাদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মামলা জটের কারণে জনগণ একদিকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়, অন্যদিকে নানা হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হয়। তাই দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে জনগণের হয়রানি ও দুর্ভোগ কমাতে সবোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

মামলাজট নিরসনে অনেকগুলো মামলা ফাস্ট ট্র্যাক করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ডিএজি ও এএজিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টে অনেক রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। এগুলোর ‘ইন্টিমেশন’ তাড়াতাড়ি করতে হবে।

তিনি বলেন, হাইকোর্টে সবচেয়ে বেশি হয় ‘স্টে’, যা ‘ভ্যাকেট’ করার জন্য প্রত্যাশী মন্ত্রণালয়/সংস্থা সলিসিটর অফিসের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে। সেটা যদি একটু তাড়াতাড়ি প্রসেস করে তথ্যাবলি আইন মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ডিসপোজাল/নিষ্পত্তির ব্যাপারে তড়িৎ কাজ করা সম্ভব হবে।

ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন করেছিলেন এবং এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।

‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করলে এই সংস্থাকে সচল করা হয় এবং গত ৫-৭ বছরে এটি একটি সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণেও একটি আইনগত সহায়তা প্রদান অফিস চালু করা হয়েছে’- বলেন আইনমন্ত্রী।

আরএস