রাজধানীতে গণপরিবহনে কর্মজীবীদের ভিড় ভোগান্তি নিত্য দিনের ঘটনা ছিলো। বাসে সিট পাওয়া ছিলো ভাগ্যর উপর।পাঁচ টার অফিস শেষে ঠাসাঠাসি করে বাসে উঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। তার ওপর যানজটে অতিষ্ঠ থাকতো জীবন। সেই যাত্রায় স্বস্তি এনেছে মেট্টোরেল।শনিবার থেকে মেট্রোরেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করা যাচ্ছে। যদিও ওই দিন যাত্রীদের ভিড় কম ছিলো। রবিবার সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে বেড়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এতে উত্তরা-মতিঝিল রুটে অফিসে যাতায়াত করছে যাত্রীরা। সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি ছয় দিন যাত্রীদের নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ছুটবে মেট্রোরেল।
মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সারাক্ষণই যাত্রীদের ভিড় ছিল। তবে বিভিন্ন স্টেশনে মতিঝিল, শাহাবাগ ও ফার্মগেট স্টেশনে ছিল অফিসে যাওয়ার তাড়া। বাড়ি ফেরা যাত্রীদের সংখ্যা বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ছিল শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার তাড়া।
মতিঝিল থেকে মিরপুরের যাচ্ছেন সাঈদ ইসলাম। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী।স্বস্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে মেট্রোরেলে যাতায়াত করায় এখন অফিসে যাওয়া সহজ হয়েছে। আগে অনেক ভোরে রওনা হতে হতো। এখন আধ ঘন্টায় পৌঁছে যাই। গতকাল থেকে সন্ধ্যায়ও চালু হয়েছে। এখন আসা-যাওয়া দুটোই মেট্টোরেলে করবো। তবে এখন চাকুরীজীবীদের ভিড়টা একটু বেশি। এরপরও তেমন ঝামেলা হয় না। স্বল্প সময়েই অফিসে পৌঁছাই।
কাওরানবাজারে ব্যবসায়িক কাজে আসা সাজেদুল ইসলাম বলেন, অন্যদিন বাসে করে যাওয়া-আসা করতাম। আজ মেট্রোরেলে যাওয়ার চিন্তা করলাম। এর আগেও সকালে মেট্রোরেলে চড়ে এই বাজারে আসা-যাওয়া হইছে। বাসের চেয়ে ঝামেলা কম। তবে আজ মানুষের প্রচুর ভিড় দেখলাম।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সুলতানা আক্তার বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় মেট্রোরেল চালু হওয়ায় নারী চাকরিজীবীদের জন্য বেশি সুবিধা হয়েছে। আমাদের মতো চাকরি করা নারীদের বাসায় ফেরার তাড়া বেশি থাকে। কারণ বাসায় গিয়েও সংসারের নানা কাজ করতে হয়। অনেক সময় বাসার কাজে অনেক রাত হয়ে যায়। আবার সকালে উঠে অফিস ধরতে হয়। সব সময় তাড়াহুড়া লেগেই থাকে। এখন মেট্রোরেলে যাতায়াতের ফলে অনেক সময় বেঁচে যাবে।
আরএস