বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের অসন্তোষ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের অসন্তোষ বাড়ছে

সরকার ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন ও বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করছেন দেশের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সেই সাথে করে যুক্ত হয়েছে বকেয়া বেতন এবং বোনাসের দাবি।

প্রায় ঈদ আসলেই শুরু হয় শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ বোনাস পাওয়ার আন্দোলন। তৈরি পোশাক খাত অধ্যুষিত অঞ্চল গাজিপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, চট্টগ্রাম ও টঙ্গী এলাকায় অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোর কর্মীরা প্রায় বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন। ঈদুল ফিতরের বাকি কয়েকদিন মাত্র, তবে দেশের শতাধিক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাননি।  ফলে গাজীপুর, ধামরাই, সাভারসহ শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে গত কয়েক দিন ধরে কোনো না কোনো কারখানায় অসন্তোষ লেগেই আছে।

গতকাল মঙ্গলবার বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেন গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।দুই দিন কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। শ্রমিকরা কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ১০টার দিকে শিল্পপুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিকরা জানান, গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়া হয়নি।গেল ২২ মার্চ বকেয়া ও বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি।পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে স্টাফদের বেতনও বেশ কয়েক মাস ধরে বকেয় রাখা হয়েছে।সেদিন প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক বিক্ষোভে অংশ নেন। গত দুই বছরের ছুটির টাকাও পরিশোধ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমরা কাজ করতে এসেছি। আন্দোলন করতে আসিনি। পেটের ক্ষুধায় আন্দোলন করছি। বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

গত বৃহস্পতিবার বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় এসিএস টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে মহাসড়কের উভয় প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন শ্রমিক বলেন, আমাদের তো ঈদ আছে দীর্ঘ দিন বেতন আটকা পড়া, সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তার উপর আবার ঈদ ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম ফেরদৌস দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, শ্রমিকদের যেকোনো অভিযোগ বা সেবার জন্য আমরা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছি এবং এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি। বেতন বোনাসের বিষয়টি নিয়ে আমরা মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করছি আশা করছি খুব শীঘ্রই সমাধান হবে।

বিআরইউ