“এ ধরনের নির্লজ্জ সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন,” বিবৃতিতে বলেছে বাংলাদেশ।
ইরানে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কঠোর নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের নির্লজ্জ সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকিস্বরূপ, যার রয়েছে সুদূরপ্রসারী পরিণতি।”
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাতের দিকে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি শহর কেঁপে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা অসংখ্য ছবিতে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
হামলায় ইরানের বেশ কজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীর প্রাণ গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও গাড়ির ছবিতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সয়লাব।
এ হামলাকে গত বছরের দুই দফার হামলার সঙ্গে মেলালে ভুল হবে। সেগুলোকে ‘সতর্কবার্তা’ ধরলে শুক্রবারের হামলা মূলত ‘যুদ্ধের আমন্ত্রণ’।
ইরানও প্রতিক্রিয়া দেখাবেই। এরই মধ্যে তারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১০০টির মত ড্রোন ছুড়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেসব ড্রোন ভূপাতিত করার ছবিও টেলিগ্রামে এসেছে।
কিন্তু এই প্রতিক্রিয়াই শেষ নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের ধারণা, ইরান আরও বড় আকারে প্রতিশোধ নেবে, যা পুরো অঞ্চলকেই যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তেমনটা হলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়বে বলে বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন, বলছে সিএনএন।
এমন প্রেক্ষাপটে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সব পক্ষের প্রতি সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের এবং ইতোমধ্যে অস্থির একটি অঞ্চলে আরও উত্তেজনা বাড়ায় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
“স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ। কূটনীতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে স্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর উপায় হিসাবে মনে করছে বাংলাদেশ।”
আরএস