বন্যাকবলিতদের জন্য বাসদের তিন দফা 

আমারসংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২২, ০৪:২১ পিএম
বন্যাকবলিতদের জন্য বাসদের তিন দফা 

সিলেট ও সুনামগঞ্জকে  দূর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা এবং বন্যাকবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা করাসহ তিন দফা দাবিতে সমাবেশ ও ঝটিকা মিছিল করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল(মার্কসবাদী)। সমাবেশ শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে স্বারকলিপি পেশ করেন তারা। 

সোমবার (৪ জুন) রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে নেতা কর্মীেদের নিয়ে সমাবেশে বক্তারা এ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

তদের দেওয়া দাবি গুলো হলো ১. অবিলম্বে সিলেট ও সুনামগঞ্জকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। ২. বন্যাকবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। ৩. নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষত অন্তঃসত্তা নারীদের নিরাপদ আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। 
এ সময় বক্তারা বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের ১৭ টি জেলার ৭০ টিরও বেশি উপজেলা বন্যা কবলিত। ইতিমধ্যে ৮২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বাড়ি - ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গবাদি পশু হাস - মুরগী পানিতে ভেসে গেছে। যারা কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য গবাদি পশু পালন করেছিলেন তারা সর্বশান্ত হয়েছেন। কৃষকের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে , শ্রমিকের কাজ নেই , ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান - পাট ডুবে গেছে। তাদের পুনর্বাসন করা দরকার কিন্তু সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।
তারা আরোও বলেন, ত্রাণের বরাদ্দ অত্যন্ত অপ্রতুল , যা দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের প্রতি নির্লজ্জ উপহাসের মতো। বন্যার পর ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে মূলত বেসরকারি উদ্যোগে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সারা দেশের মানুষের সহযোগীতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হলে আবারো বন্যা হওয়ার আশঙ্কা আছে।

বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে নেতারা বলেন, বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে , কিন্তু এখনো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা মানুষ পাচ্ছে না। বন্যার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও সরকার ও প্রশাসন কোন প্রকার সতর্কবার্তা প্রদান করেনি , মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেনি। এতে বানভাসি মানুষ সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অসহায় মানুষদের উদ্ধারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দেশের রাজস্ব খাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী খেটে খাওয়া সাধারণ দরিদ্র মানুষ খাদ্য ও ঔষধের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ , চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। এই লক্ষে আন্দোলন গড়ে তুলতে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। 

আরইউ