বিএনপি-জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি যুবলীগ চেয়ারম্যানের

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম
বিএনপি-জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি যুবলীগ চেয়ারম্যানের

বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধে দাবি জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান সহযোগি সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগ, বালুর মাঠে দেশব্যাপী দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা এর সভাপতিত্ব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা এর সঞ্চালনা করেন।

বিএনপির নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-আপনারা এদেশের জনগণকে ভিকটিম বানানোর স্পর্ধা দেখাবেন না। আপনাদের হীন, সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধণের জন্য এদেশের জনগণ আর ভিকটিম হবে না। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার যদি ব্যাঘাত ঘটান, তাহলে এদেশের আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এখনো মাঠে আছে এবং এদেশের জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা তারা রক্ষা করতে জানে। আমাদের সৃষ্টি রাজপথে। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে করতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জানি আপনাদের মতো কুচক্রী মহলকে কিভাবে রাজপথে মোকাবিলা করতে হয়।

তিনি আরও বলেন-যদি আমাদের পুলিশ বাহিনীর উপর আক্রমণ করেন, তাহলে সেই আক্রমণেরও জবাব দেওয়া হবে। আপনারা এদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন, এই পুলিশ বাহিনীর দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ সন্ত্রাস -জঙ্গিবাদ নির্মূল ও নির্বাসনে। সুতরাং পুলিশের উপর আক্রমণ করলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও দেশের জনগণ সেটা মেনে নিবে না। তিনি আরও বলেন-আপনাদের নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করলে থানা আক্রমণের হুমকি দেন। কোন সভ্য সমাজে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোন নাগরিক এ কথা বলতে পারে না। আপনারা কতটা ফ্যাসিস্ট এই ধরণের কথায় তাই প্রমাণ করে। এই উক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী সংগঠন। তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ানটেড তালিকাভূক্ত, আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং মামলার আসামী, দুর্নীতির বরপত্র, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট হত্যা মামলাসহ অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কুখ্যাত সন্ত্রাসী তারেক জিয়া। এই সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ সংগঠন হয়ে আমাদেরকে সন্ত্রাসী বানানোর কৌশল হাতে নিয়েছেন। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আপনাদের মত আদর্শহীন রাজনীতি করে না, আমাদের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।

তিনি উপস্থিত যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দশ্যে বলেন-আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, ধৈর্যশীল থাকবেন। বিএনপি-জামাতের কৌশল আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করা, ওরা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইবে, আপনারা ওদের ফাঁদে পা দিবেন না। কিন্তু রাজপথে আমরা ছেড়ে দিবো না।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারিও সফলতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে ঠিক সেই সময় জামাত-বিএনপি উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সারাদেশে স্বোচ্চার, যুবসমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। জামাত-বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে প্রতিহত করতে রাজপথে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে যুবলীগ।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজেল রাব্বী স্মরণ, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, মোঃ আব্দুর রজমান জীবন, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান, মোঃ আলমগীর হোসেন শাহ জয়, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ মনিরুল ইসলাম আকাশ, অ্যাড. মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী রিগ্যান, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ শহিদুল ইসলাম লাকি, মোঃ মুজিবুর রহমান, মোঃ তারিক আল মামুন, এ বি এম আরিফ হোসেন, মোঃ আরিফুল ইসলাম উজ্জলসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

এবি