পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ: শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ, দাবি রিজভীর

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ০৪:৩৯ পিএম
পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ: শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ, দাবি রিজভীর

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশ সংঘর্ষ শুরু হয়। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। 

নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে পুরো এলাকা যেন রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এদিকে, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করছেন, বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অনেকেরই পায়ে, হাতে ও বাহুতে গুলি লেগেছে।

জানা গেছে, বিএনপি নেতা খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা মেহবুব মাসুম শান্তসহ অসংখ্য নেতাকর্মী  সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে স্লোগান দিয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ছোড়া অসংখ্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকা।

জানা যায়, কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিএনটি নেতাদের দাবি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভেতরে অমানবিক অবস্থায় আছেন নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের ধোঁয়া ভেতরে প্রবেশ করায় নেতাকর্মীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

এর আগে সকাল থেকেই বিএনপির কার্যালয়ের সামনে শত শত নেতাকর্মী অবস্থান করেন। দুপুর বারোটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর সাড়ে বারোটার দিকে দুটো ট্রাক আসে।

তাতে মাইক ব্যানারসহ অস্থায়ী মঞ্চ দেখা যায়। এক পর্যায়ে মাইক্রোফোন ঘোষণা দেয়া নেতাকর্মীদের রাস্তায় বসে পড়তে দেখা যায়। মুহূর্তে কয়েক হাজার নেতা কর্মী রাস্তায় বসে পড়লে ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

টিএইচ