‘সাবাস সোনার বাংলাদেশ’ অসাধারণ গান: তথ্যমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম
‘সাবাস সোনার বাংলাদেশ’ অসাধারণ গান: তথ্যমন্ত্রী

সময়ের প্রেক্ষাপটে ‘সাবাস সোনার বাংলাদেশ’ গানকে অসাধারণ গান হিসেবে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে ‘সাবাস সোনার বাংলাদেশ’ সংগীতের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এতে অন্যদের মধ্যে গানটির শিল্পী ফাহমিদা নবী, কোনাল, এলিটা করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী এ ধরনের গানের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপটে এটা অসাধারণ গান। গানের মধ্যে কয়েকটি লাইন আছে আত্মমর্যাদার কথা। এই দেশটি আমাদের। আমাদের দেশ কীভাবে চলবে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ, বাইরের কেউ নয়; সেই কথাটার ইঙ্গিত এই গানের মধ্যে আছে।

শৈশবের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গানের একজন ভালো শ্রোতা। মানুষ তো গান গায়, কিন্তু গানের বিদগ্ধ শ্রোতাও তো দরকার আছে। আমি গানের একজন ভালো শ্রোতা এজন্য বলছি- প্রতিদিন এত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি গান শুনি। আমার পক্ষে তো সময় করে নেওয়া কঠিন হয়, রাতের বেলা গান শুনি ঘুমানোর আগে। সেজন্য ঘুমাতে একটু দেরিই হয়ে যায়, কালকে এক ঘণ্টা দেরি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যখন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কোনো জায়গায় যাই গাড়িতে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা লাগে তখন গান শুনি। আমার গান শেখার ইচ্ছা ছিল, শেখাটা হয়নি। একটি মজার ঘটনা আছে, হয়ত কেউ কেউ জানে। চট্টগ্রাম শহরে যেখানে আমাদের বাসা ছিল ছোটবেলায় সেখানে কুয়া ছিল, ঢাকা শহরেও তখন (কুয়া) ছিল। তো কুয়া থেকে পানি তোলা হতো। এখন আর ঢাকা শহরেও নাই, চট্টগ্রাম শহরেও নাই। আমি সেই কুয়ার মধ্যে মাথা দিয়ে গান করতাম।’

গান গাইতে গিয়ে কুয়ায় পড়ে যাওয়ার ঘটনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিন এ রকম মাথা দিয়ে গান করতে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম এবং বাসায় কেউ ছিল না। আমার বাবা আইনজীবী ছিলেন, তিনি কোর্টে ছিলেন। আমার মা অসুস্থ ছিল, হাসপাতালে ছিল। বাসায় ১৭/১৮ বছরের একজন হাউজওয়াইফ ছিল, তিনি পড়ার আওয়াজটা শুনেছিলেন, কিছু একটা পড়ে গেছে। দৌড়ে এসে পানি তোলার বালতিটা নিচে ফেলে, আমি তখন সেটা ধরে বসি, তখন তিনি টেনে তোলেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে আছে এত উপর থেকে পড়ে একেবারে কুয়ার বালি টাচ (স্পর্শ) করেছিলাম। তবে গান শিখতে না পারার একটা বেদনা আছে। অভিনয়ও করতে গিয়েছিলাম। আমি চট্টগ্রামে তীর্যক নাট্যদলের সদস্য ছিলাম। রোল-টোল পাইনি, সেট টানাটানি ছাড়া। একটু রোল একটাতে মনে হয় পেয়েছিলাম। গান শেখাও হয়নি, অভিনয় শেখাও হয়নি, কোনোটাই হয়নি। আজকে আপনাদের (গায়ক) সঙ্গে কাজ করার সুযোগটা প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করা একইসঙ্গে গানের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এই কাহিনীগুলো জানেন না, এটা ঘটনাচক্রে হয়ে গেছে।’

আরএস