তথ্যমন্ত্রী

শকুন আর রাজনীতির কাকদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম
শকুন আর রাজনীতির কাকদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশটা যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের ওপর বিদেশি শকুনের দৃষ্টি পড়েছে। আর সেই শকুনদের সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতির কাকেরা। এই শকুন আর রাজনীতির কাকদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। তিনি যখন উচ্ছিষ্ট বিলালেন তখন বিভিন্ন দলের নেতারা গিয়ে তা গ্রহণ করার জন্য জড়ো হলেন। ওরা রাজনীতির কাক। বিদেশি শকুনের দৃষ্টি যখন দেশের ওপর পড়েছে, তখন রাজনীতির কাকেরা তাদের সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শকুন আর রাজনীতির কাকের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেটের সমাবেশে মোরগ বিরিয়ানি খেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য নেতারা জ্বালাময়ী বক্তৃতা করে বলেছেন, ‘দেশের মানুষ এখন খেতে পারছে না।’ অথচ সেই সমাবেশে যিনি খাবার সাপ্লাই দিয়েছিলেন তিনি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে বললেন, ‘আমি ১০ হাজার লোকের বিরিয়ানি পাকিয়েছিলাম, ১২ হাজার মানুষ খেয়েছে।’ বিরিয়ানি খাওয়ার জন্যই বিএনপি জনসভায় সমবেত হয়। বিএনপির সমাবেশ হলো একটা পিকনিক। ২৮ তারিখে একটা বড় পিকনিক করতে চান তারা। আমরা পিকনিক থেকে তাদেরকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচে পাঠিয়ে দেব ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। এই দলের জন্মই হয়েছে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করার জন্য। ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে বিরোধী দলে থেকে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। আমরা জানি রাজপথে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয়। যারা বোরকা পড়ে হাইকোর্টে জামিন নিতে হাজির হন, আর কারও ভেলকিতে গর্তে ঢুকে যান, তারা কতটুকু আন্দোলন করবেন আমরা জানি। এবারও সরকারের বিরুদ্ধে পতনযাত্রা শুরু করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের পতনযাত্রা শুরু করবে। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির পতনযাত্রা যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনি শিশুদেরকে পাখি মতো শিকার করা হচ্ছে, হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপ করে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। মানবতার বিরুদ্ধে যখন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, শকুনরা নাখোশ হতে পারে সেই ভাবনায় তারা কোনো কথা বলে না। ওরা আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। মানবতার বিরুদ্ধে যখন অপরাধ সংগঠিত হয় তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্ব প্রতিবাদ জানায়, তখনও বিএনপি নিশ্চুপ থাকে। তারা দেশের সমস্ত সম্পদ শকুন লুট করে নিলেও নিশ্চুপই থাকবে। এদের হাতে দেশটাকে তুলে দেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবী যখন থমকে গেছে, মানুষ যখন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ তখন প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। মানুষের স্বপ্নকেও হার মানিয়েছে তার এই পদক্ষেপ। যে মানুষটি বৃষ্টির সময় অপরের আঙিনায় আশ্রয় নিত, খরতাপে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিত, সে স্বপ্ন দেখত আমার যদি একটা কুঁড়েঘর থাকত। তাদের স্বপ্নকেও হার মানিয়ে শেখ হাসিনা কুঁড়েঘর নয়, তাদেরকে জমির মালিকানাসহ পাকাবাড়ি করে দিয়েছেন। পৃথিবীর কোথাও এভাবে লাখ লাখ মানুষকে ঘর করে দেওয়া হয়নি।

সংগঠনটির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি জাবেদ জাহাঙ্গীর টুটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিয়া মনসফ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটন, সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম নওশের আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আকতার হোসেন খান প্রমুখ।

আরএস