ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেফতার ও বন্দি হয়েছেন।

আমি বলবো বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মত বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগিতা করেছে।

দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তিযুক্ত কতটা সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, সেটা তো আমরা উপলব্ধি করি। কীভাবে আমাদের উপর চাপ দেয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই চাপগুলো আমরা অনুভব করি। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি, ধমকি ছিল, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেয়া হয়েছিলো। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিল বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিল না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র কীভাবে মোকাবেলা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৪ দলীয় জোটকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাছে টানতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের নিজেদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন এর উপর নির্ভর করে আমরা বাস্তব কঠিন পরিস্থিতি কে মোকাবেলা করতে সক্ষম।

উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই দলের নির্দেশনা মানেনি, তাদের বিষয়ে দল কি ব্যবস্থা নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এর মধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন।

আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার স্বজনও একজন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্ন টা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না। আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই সেটাই দেখার বিষয়। পার্টির কারো এর সঙ্গে কোন সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারো এর সঙ্গে কোন সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলবো একটা আর কাজে করবো আরেকটা এটাই আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিবো না।

স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রীর যে সংজ্ঞা সে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কথা হচ্ছে, ভাই হউক, স্বজন হউক আমি তাকে দাঁড় করিয়েছি কি না। আমি তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না, আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না সেটা হচ্ছে বড় কথা। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকে তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিষয়ে জড়িত নেই।

প্রধানমন্ত্রীর বলা পরিবারের মধ্যে যেন সব কিছু কেন্দ্রীভূত না করে এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বজনদের সব কিছু দেওয়ার জন্য যদি সব কিছু কেন্দ্রীভূত করা হয় দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? একথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সকলের বক্তব্য সেটাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বিআরইউ