চোরের মত সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মী ও চোর-ডাকাতদের রেখে বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালায়ন সকল রাজনৈতিক নেতাদের জন্য শিক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ফেনী শহরের ভাষা শহীদ সালাম কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গেছেন তবু দেশ ছাড়েননি। এটা হলো বেগম জিয়া আর খুনি হাসিনার মধ্যে পার্থক্য।
মজনু বলেন,আওয়ামী লীগের এমন লজ্জাজনক পরাজয় সকল রাজনীতিক নেতাদের জন্য একটি শিক্ষা। আমরাও দল করি,কখনও এরকম লুটপাট, সন্ত্রাস, অপশাসন করি তাহলে আমাদের পরিণতিও এমনই হবে।
তিনি বলেন, শহিদের রক্তে আজ স্বৈরাচারী হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ। আ.লীগের দাপটে বিএনপি এতদিন প্রোগ্রাম করতে পারত না। পুলিশকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করেছিলো। পুলিশের দায়িত্ব ছিল সন্ত্রাসমুক্ত করা, মানুষের পাশে থাকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা।অথচ, তারা আ` লীগের পক্ষে দালালি করে মানুষকে গুলি করে হত্যা করার কারণে এখন তাদের কি করুন অবস্থা।
আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করতে চাই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা নিষ্ঠার সাথে দেশ প্রেমিকের মতো দায়িত্ব পালন করুন। কোন খুনির অর্ডারে কাজ করবেন না। তবে যারা গণহত্যার সাথে জড়িত তাদেরকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না।
ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, আবদুল খালেক, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, আবু তালেব, জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খোন্দকার, জাসাস জেলা আহ্বায়ক কাজী ইকবাল আহমেদ পরান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন।
এসময় নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মজনু বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছিল যার ফলে তাদের আজকের এই পরিণতি।এছাড়া দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ পুলিশ- র্যাব ও বিজিবি দিয়ে রাজপথ দখল করেছিলেন। সাহস থাকলে এখন রাস্তায় আসুক। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে। কিন্তু ওরা যে লুটপাট করেছে আমরা সেটা করব না।আমরা মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিবো। কেউ সন্ত্রাস, লুটপাট ও চাঁদাবাজি করলে সে যত বড় নেতাই হোক বিএনপিতে তার কোন ঠাঁই হবে না।
ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এস.এম কায়সার এলিনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন দেলোয়ার হোসেন দোলন, তাতী দলের সারওয়ার জাহান শ্রাবণ, ফেনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান মজিব, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুদ্দোজা সুমন, ছাগলনাইয়া উপজেলার আহ্বায়ক জাফর আহাম্মদ মজুমদার, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন রাজিব, সোনাগাজীর উপজেলার আহ্বায়ক এবিএম মারুফ, সদস্য সচিব আবুল মনছুর সবুজ, দাগনভূঞা আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী সদর উপজেলার আহ্বায়ক জোবায়ের হোসেন, সদস্য সচিব বেলাল হোসেন প্রমুখ।
বিআরইউ