হজে মাবরুরের ফজিলত

আমারসংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২২, ০৫:৪০ পিএম
হজে মাবরুরের ফজিলত

সামর্থবান  নারী ও পুরুষের জন্য জীবনে হজ একবার ফরয। এবং তাদের জন্য নেক আমলও এই ইবাদত। হজে মাবরুর মূলত হজের আলাদা কোনো প্রকার নয় বরং এটা একটি যৌগিক আরবি শব্দ যা হাদিসের ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে।হজে মাবরুরের মূল অর্থ হলো পূণ্যময় হজ। যে হজ ত্রুটিমুক্ত এবং কবুল হওয়ার জন্য সব শর্ত রয়েছে সেই হজিই মূলত মাবরুর হজ। আপনার হজকে হজে মাবরুরে পনিরণত করতে চাইলে নিশ্চয়ই হজের প্রতিটি বিধি বিধান পূঙ্খানুপূঙ্খরুপে সতর্কতার সাথে পালন করতে হবে।

যেহেতু হজ শারীরিক এবং আর্থিক একটি ইবাদত সেক্ষেত্রে একবার হজ পালন করার পর আমলের ত্রুটির কারণে সেটা যদি কবুলিয়াত না হয় তাহলে সেটা নিশ্চয়ই ব্যর্থতায় পরিণত হবে। 
রাসূল (সা) হজে মাবরুরের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিস শরিফে বলেন,
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলোা, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হলো অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, হজে মাবরূর (কবুল হজ)।’ (বুখারি)
হজ পালনকারীদের জন্য আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ লক্ষ্য বস্তু হলো মাবরূর হজ। উম্মুল মুমিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা প্রিয়নবির কাছে সর্বোত্তম আমল ‘জিহাদ’-এ অংশগ্রহণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদের জন্য মাবরূর হজকে সর্বোত্তম জিহাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেন, না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হলো, হজে মাবরূর।’ (বুখারি)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গোনাহ থেকে বিরত থাকলো, সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরলো, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

পরিশেষে,
হজপালনকারী সব নারী-পুরুষের উচিত সর্বোচ্চ সাবধানতার সঙ্গে ভুল-ত্রুটি এড়িয়ে হজের রোকনগুলো যথাযথ আদায়ে মনোযোগী হওয়া। তাকওয়া অবলম্বন তথা আল্লাহর ভয় ও রহমতের আশা-আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে হজ পালন করার চেষ্টা করা। কেননা মাবরূর হজের বিনিময় হচ্ছে সরাসরি জান্নাত। আর সে হয়ে যাবে সদ্য ভূমিষ্ঠ নিষ্পাপ শিশুর মতো নিরাপরাধ।

আল্লাহ তায়ালা প্রত্যক হজ  পালন কারীর হজকে হজে মাবরুর হিসেবে কবুল করুন আমিন ।

 

আরইউ