বিপিএল: প্রতি আসরেই বদলে যায় ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর নাম

আহমেদ হৃদয় প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম
বিপিএল: প্রতি আসরেই বদলে যায় ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর নাম

ডিআরএস, অনিয়ম ইত্যাদি সমালোচনাকে সঙ্গী করেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসর। তবুও যেন পিছুই ছাড়ছে না সমালোচনা। বাংলাদেশি খেলাপ্রেমিদের কাছে যদি জিজ্ঞেস করা হয় বিপিএলের সবগুলো দলের পুরো নাম কি? তাহলে অধিকাংশরাই ভুল করবেন। তার প্রমাণও মিলেছে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে।

গতকাল খেলা দেখতে আসা দর্শকদের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সবগুলো দলের নাম কি? তবে তাদের কেউই বলতে পারেনি সবগুলো দলের পুরো নাম। অন্যদিকে দলগুলোর অধিনায়কের নামও জানেন না কেউ। যদি বলা হয় আইপিএলের সবগুলো দলের পুরো নাম কি; তাহলে হয়তো এক বাক্যে সবাই বলে দিতে পারবে। 

কারণ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর নাম বছর বছর পরিবর্তন করা হয় না। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৬টি দল নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের। সেবার বরিশাল বার্নার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটসর।

পরের আসরেই একটি দল বাড়িয়ে ৭ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিপিএলের দ্বিতীয় আসর। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের নাম সেবার অপরিবর্তীত থাকে। দুরন্ত রাজশাহী; সিলেট রয়্যালস; খুলনা রয়েল বেঙ্গলস; বরিশাল বার্নার্স ও চিটাগং কিংসের নাম অপরিবর্তীত থাকে। নতুন দল হিসেবে সেই আসরে যোগ হয় রংপুর রাইডার্স।

২০১৫ সালে আরও ৬ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিপিএলের তৃতীয় আসর। সেবার নতুন দল হিসেবে আসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সেবার রংপুর রাইডার্স ছাড়া বাকি চারটি দলের নামই পরিবর্তন করা হয়। বরিশাল বার্নার্সের নাম পরিবর্তন করে সেবার নতুন নাম দেওয়া হয় বরিশাল বুলস। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হয় ঢাকা ডায়নামাইটস। সিলেটের নতুন নাম দেওয়া হয় সিলেট সিলেট সুপার স্টার। চিটাগং কিংসের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হয় চিটাগং ভাইকিংস। তবে খুলনা ও রাজশাহী সেবার বিপিএলে ছিল না।

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ আসর। সেবার খুলনা টাইটানস নামে আবারও বিপিএলে অংশ নেয়। রাজশাহী সেবার অংশ নেয় নতুন নামে। দুরন্ত রাজশাহীর বদলে সেবার নতুন নাম হয় রাজশাহী কিংস। রংপুর; কুমিল্লা ও বরিশালের নাম সেবার অপরিবর্তীত থাকে। পরের আসরে বাকি দলগুলোর নাম অপরিবর্তীত থাকলেও নতুন নামে টুর্নামেন্টে অংশ নেয় সিলেট সিক্সার্স। আগের আসরে ছিল না সিলেট।

২০১৯ সালে কোনো দলের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। তবে পরের আসরেই একাধিক দলের নাম পরিবর্তন করা হয়।

২০১৯-২০ সালের সেই আসরে খুলনা টাইটানসের নাম হয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। রাজশাহী কিংসের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হয় রাজশাহী রয়্যালস। চিটাগং ভাইকিংসের নাম বদলে হয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঢাকা ডাইনামাইটসের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া ঢাকা প্লাটুন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের নামও পরিবর্তন করা হয়। সেই আসরে কুমিল্লার নতুন নাম হয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। রংপুর রাইডার্সের নাম বদলে হয়ে যায় রংপুর রেঞ্জার্স। সবশেষ সিলেট সিক্সারর্সের নাম বদলে নতুন নাম দেওয়া হয় সিলেট থান্ডার।

চলতি আসরে চট্টগ্রামের নাম অপরিবর্তীত রয়েছে। কুমিল্লার পরিবর্তন করে আবারও আগের নাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস রাখা হয়। ঢাকার নাম পাল্টে এবার নতুন নাম দেওয়া হয় ঢাকা ডমিনেটর্স। বরিশালের নাম বদলে দেওয়া হয় ফরচুন বরিশাল। খুলনার নাম থাকে অপরিবর্তীত। রংপুর ফিরে যায় তার আগের নামে ‘রংপুর রাইডার্স’। সিলেটের নাম পাল্টে নতুন নাম দেওয়া হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। এভাবেই প্রতি আসরেই ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর নাম পরিবর্তন হচ্ছে। যার জন্য দলের নাম নিয়েও তৈরি হচ্ছে ধুম্রজাল।

টিএইচ