ঘরের মাঠেই ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারালো জার্মানি

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪, ১০:০০ এএম
ঘরের মাঠেই ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারালো জার্মানি

বলতে গেলে মাস দুয়েক পরেই জার্মানিতে বসবে ইউরো। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এর থেকে ভালো ম্যাচ হয়ত দু’দল পেতো না। অবশ্য হাইভোল্টেজ ম্যাচের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জার্মানির সাথে পেরে ওঠেনি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফ্রান্স। এ কী অসাধারণ টার্নিং, যা ১১ বছরেও করতে পারলো না, তা এবার করে দেখালো হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালারা।

প্রীতি ম্যাচে ফ্রান্সকে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে না হারানোর রেকর্ডটাও ভাঙলো চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

শনিবার রাতে দুই অর্ধে জার্মানির হয়ে দুটি গোল করে ফ্লোরিয়ান ভার্টজ ও কাই হাভার্টজ। প্রথম গোলটা আসে ম্যাচ শুরুর মাত্র সাত সেকেন্ডের মাথায়, যা সময়ের হিসেবে জার্মানির ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। 

কিলিয়ান এমবাপে, ওসমান দেমবেলেদের নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগ ছিল এদিন অনেকটাই নিষ্প্রভ। পুরো ম্যাচে ফ্রান্স অন টার্গেট শট নিতে পেরেছে মোটে দুটি, যেখানে জার্মানি নিয়েছে ছয়টি। বল দখলের লড়াইয়েও দিদিয়ের দেশমের দল পিছিয়ে ছিল বেশ।

এদিন সব ছাপিয়ে নজরটা ছিল জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের দিকে। অবসর ভেঙে আবারও যে এই ম্যাচ দিয়ে জার্মানের জার্সিতে ফিরেছেন ক্রুস। অবশ্য ফিরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে সময় নেননি এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। রেখেছেন জার্মানির একটি গোলে অবদান।

দুদলের শেষ দেখায়ও জয়ে পেয়েছে জার্মানি। তবে ঘরের মাঠে ফর্ম বিবেচনায় এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। ম্যাচ শুরু না হতেই সেই চিত্র বদলে দেন লাভারকুসেনের হয়ে উড়তে থাকা মিডফিল্ডার ভার্টজ। ম্যাচের বয়স এক মিনিট না গড়াতেই ক্রুসের বাড়ানো বল থেকে ডি বক্সের বেশ বাইরে থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই তুরুণ মিডফিল্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন  আর্সেনাল ফরোয়ার্ড  কাই হাভার্টজ। আর তাতেই জয় নিশ্চিত হয় জার্মানির।

এদিন অবশ্য দেশমের দল মাঠে নেমেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ তারকা আতোয়ান গ্রিজম্যানকে ছাড়া। টানা ৮৪ ম্যাচে ফ্রান্সের জার্সিতে খেলার পর ইনজুরির কাছে হার মানতে হয়েছে গ্রিজম্যানকে। তার না থাকাটা বেশ ভুগিয়েছে ফ্রান্সকে।

ইউরোর আগে দুদলের সামনে আছে আরও একটি করে প্রীতি ম্যাচ। যেখানে ফ্রান্স লড়বে চিলির বিপক্ষে, আর জার্মানির প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। 

বিআরইউ