বাংলাদেশ কত গোলে জিততে পারে, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার। পিটার বাটলার তার বেঞ্চের শক্তিকে বাজিয়ে দোখেছন এই ম্যাচে। তাতে সফল তিনি। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল জিতেছে ৩-০ গোলে। টানা চার জয়ে শীর্ষস্থানে উঠেছে বাংলাদেশ।
একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে বিরতির পর মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ৫ মিনিটে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি আক্রমণ করে বাংলাদেশ। ৫৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পান ঐশী খাতুন। তার হেডার অল্পের জন্য বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৫৫ মিনিটে রুমা আক্তারের হেড ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। ব্যবধান দ্বিগুণ করার কাছাকাছি গিয়েও পারেনি স্বাগতিকরা।
৬৩ মিনিটে বাংলাদেশ হারায় সবচেয়ে বড় সুযোগ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন স্বপ্না। এক মিনিট পর বাম প্রান্ত দিয়ে দারুণ গতিতে ভেতরে ঢোকেন মুনকি আক্তার। কিন্তু তার শট চলে যায় বাইরে দিয়ে।
৬৪ মিনিটে ভুটান অনবদ্য এক আক্রমণে কাঁপন ধরায় বাংলাদেশ শিবিরে। তবে সাংগাই ওয়াংমোর বাঁ পায়ের শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মিলি।
৬৫ মিনিটে লিড বাড়ায় বাংলাদেশ। ভুটানের রক্ষণ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে বল যায় তৃষ্ণার পায়ে। দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোল করতে ভুল হয়নি এই ফরোয়ার্ডের।
চোখধাঁধানো গোলে পেনাল্টি মিসের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন স্বপ্না। ৭৪ মিনিটে রুমার পাস খুঁজে নেয় স্বপ্না করে। ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নেন স্বপ্না। ভুটান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জড়ায় জালে। বাংলাদেশ নেয় তিন গোলের লিড। এটিই হয়ে রয় ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোরবোর্ড।
এর আগে ১৪ মিনিটে বাংলাদেশ প্রথমবার দারুণভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করে। ভুটান গোলরক্ষক পিমা ইয়াংজম বল রিসিভ করতে গিয়ে ছেড়ে দেন। ডি বক্সে বল পান তৃষ্ণা রাণী। অনেকটা ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও গোল দিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।
২২ মিনিটে তৃষ্ণা আবারও ভুটান রক্ষণে ভয় ধরান। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া বল বুক দিয়ে রিসিভ করে ছুটে যান। কর্ণারের বিনিময়ে জাল অক্ষত রাখে ভুটান।
৩০ মিনিটে পরিবর্তন আনেন বাটলার। বন্যা খাতুনকে তুলে মাঠে নামান স্বপ্না রাণীকে। তাতে বদলে যায় ম্যাচের চিত্রই। ৩৩ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন স্বপ্না। ভুটানের চার ফুটবলারকে টপকে বল যায় তৃষ্ণার পায়ে। ক্ষিপ্রতায় পেছনে ফেলেন সবাইকে। অনবদ্য এক শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককেও। বাংলাদেশ পায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা।
গোল হজম করে মরিয়া হয়ে ওঠে ভুটান। দ্রুত একাধিক আক্রমণ সাজায় দলটি। কর্নারের বিনিময়ে কয়েক দফা বাঁচে বাংলাদেশ। ৪২ মিনিটে তৃষ্ণা আসেন দৃশ্যপটে। একা ঢুকে যান রক্ষণে। শেষ পর্যন্ত ভাঙতে পারেননি ডেড লক। বাংলাদেশও আর পারেনি লিড বাড়াতে।
বিআরইউ