আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৯:৫০ এএম
বিচিত্র পৃথিবীতে এমন কিছু বিচিত্র জিনিস রয়েছে যা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। এমনই একটি বিচিত্র জিনিস র্যাফ্লেশিয়া ফুল।
ভাবছেন একটি ফুলকে কেন বিচিত্র বলছি?
জানেন কী, এই র্যাফ্লেশিয়াই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুল। এটিকে মৃতদেহ ফুলও বলা হয়ে থাকে।
প্রতি বছর এই ফুল ফোটেনা। একটি ফুল ফুটতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। এছাড়াও এই ফুল ফোটার পর মাত্র তিন থেকে সাত দিন জীবিত থাকে।
র্যাফ্লেশিয়ার বৈশিষ্ট হচ্ছে এটি নিজেই একটি গাছ। তবে এর কোনো কান্ড বা শাখা-প্রশাখা নেই। পাতাবিহীন টকটকে লালের ওপর সাদা ছিট দেওয়া এই ফুলটি মূলত পরজীবী। এরা একমাত্র টেট্রাস্টিগমা ভাইন জাতীয় উদ্ভিদের মাধ্যমে নিজেদের খাবার তৈরী করে।
এই ফুলটিতে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। অন্যান্য ফুলের গন্ধ সবাইকে আকৃষ্ট করলেও, বৃহদাকার ফুলটিতে রয়েছে মাংস পঁচা গন্ধ। যার কারণে একে বলা হয় “মৃতদেহ ফুল”। তবে এই ফুলের গন্ধে মানুষ আকৃষ্ট না হলেও কীট পতঙ্গ আকৃষ্ট হয় এবং পরাগায়নে সাহায্য করে। এই ফুলের ব্যাস দেড় থেকে তিন ফুট পর্যন্ত হয়।
ইন্দোনেশিয়া সহ সারা বিশ্বে এটি বিরল প্রজাতির ফুল হিসেবে পরিচিত। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু কিছু জায়গায় এই ফুল ফুটে থাকে। সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও ও ফিলিপাইনে এর দেখা মেলে।
ডঃ জোসেফ আর্নল্ডের নেতৃত্ব ১৮১৮ সালে তৎকালীন বড়লাট থমাস স্টামফোর্ড র্যাফেল তার দল নিয়ে অভিযানে বের হলে ইন্দোনেশিয়ার বেংকুলু প্রদেশে একটি নদীর ধারে এই গোত্রের ফুলের সন্ধান পায়। তাই এ দুজনের নামের সাথে মিল রেখেই এই ফুলের নামকরণ করা হয়। এই জন্য বেংকুলুর আরেক নাম “ল্যান্ড অফ র্যাফ্লেশিয়া”। পরবর্তীতে এটি ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
আমারসংবাদ/এডি