Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

ভোটে হারলেও জিগাতলায় থাকছেন ট্রাম্প! 

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৪, ২০২১, ১১:৫০ এএম


ভোটে হারলেও জিগাতলায় থাকছেন ট্রাম্প! 

নির্বাচনে ভরাডুবির পর এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের পূর্বেই হোয়াইট হাউজ ছাড়েন তিনি।

ওইদিন স্থানীয় সময় সকালে ট্রাম্প একটি হেলিকপ্টার যোগে এন্ড্রিউ বেজ যান এবং সেখান থেকে বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে রওনা হন ট্রাম্প। এরপর ফ্লোরিডার পাম বিচে যান তিনি। আর সেখানেই সাবেক এ প্রেসিডেন্ট তার পরবর্তী জীবন কাটাবেন বলে জানা গেছে।

এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প কী তার পরবর্তী জীবন ফ্লোরিডায় কাটাবেন নাকি বাংলাদেশে থাকছেন? এমন প্রশ্নের একটি কারণও আছে। জানা গেছে, নির্বাচনে ভরাডুবির পরও জিগাতলায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প! 

তবে সেটি সশরীরে নয়, ট্রাম্প ঝিগাতলায় স্থায়ী থাকছেন রেস্টুরেন্টের নামের মাধ্যমে। ঘটনা হলো, রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় গড়ে উঠেছে ‘ট্রাম্প ক্যাফে’ নামের একটি রেস্তোরাঁ। যার প্রবেশদ্বারেই স্বাগত জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! 

এই রেস্তোরাঁটি দেশে প্রথম চালু হয় ২০১৭ সালের শেষের দিকে। অবশ্য ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলেন ডোনাল্ট ট্রাম্প। যেকারণে ওই সময় ক্যাফেতে কেউ খেতে আসলে সবাই ট্রাম্পের ছবির পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতেন।    

তবে এখন আর ক্ষমতায় নেই ট্রাম্প। নির্বাচনে ভরাডুবির পর ছেড়ে গেছেন হোয়াইট হাউজও। তাহলে এখনও সেই মানুষটার নামেই চলবে এই রেস্তোরাঁ? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প নির্বাচনে হারার পর সম্প্রতি হোয়াইট হাউজ ছেড়ে ট্রাম্প ক্যাফের মালিক আজহারুল ইসলাম মিথুন বলেন, এর নাম বদলানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। এখনও ট্রাম্পের নামেই চলবে এই ক্যাফে। ভেতরে ট্রাম্পকেন্দ্রিক সাজসজ্জাও থাকবে আগের মতোই।

[media type="image" fid="107276" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

তিনি আরও বলেন, আমি ক্যাফেটি প্রতিষ্ঠা করি ২০১৭ সালে। ট্রাম্পকে নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা ও লেখালেখি হচ্ছিল। সবার এত আগ্রহ দেখে আমি ট্রাম্প ক্যাফে নামটি রাখি। আসলে প্রচারের সুবিধার্থে আমি এ কাজটি করেছিলাম। 

রাজধানীর ট্রাম্প ক্যাফেতে সন্ধ্যা পার হতেই বাড়তে থাকে ভোজনরসিকদের আনাগোনা। এই ক্যাফেতে খাবারের মধ্যে রয়েছে, ট্রাম্প স্পেশাল থাই স্যুপ, চিকেন স্যান্ডউইচ, ট্রাম্প সাবওয়ে স্যান্ডউইচ, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন চিজ বার্গার, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ক্রিসপি বার্গার, ট্রাম্প স্পেশাল এক্সপ্রেস ও কাপুককিনো কপি, ট্রাম্প স্পেশাল কাবাব, ট্রাম্প স্পেশাল নান। এ ছাড়া এখানে ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ফ্রাই, চিকেন ক্রিসপি ফ্রাই উইং, চিকেন চিলি, চিকেন চিলি লেমন, থাই ফ্রাইড রাইস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ, চিকেন কর্ন স্যুপ, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ক্লাব স্যান্ডউইচ, ট্রাম্প সাবওয়ে স্যান্ডউইচ, চিকেন চিজ পাস্তা রেড, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন সালাদ, পিওর মাল্টা জুস, সুইট লাচ্ছি, চকোলেট মিল্ক্ক শেক, আইসক্রিম ফালুদা, ব্ল্যাক কফি, ট্রাম্প ককটেল, পিংক ফ্রেঞ্চ, চিকেন কড়াই লোকাল, বিফ কড়াই, মাটন কড়াই, ফিশ কড়াই, ভেজিটেবল কড়াই। খাবারের দামও অন্যান্য রেস্তোরাঁর চেয়ে কম। ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যেই যে কেউ পছন্দের খাবার এখানে খেতে পারবেন। ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ফ্রাই, চিকেন ক্রিসপি ফ্রাই উইং, চিকেন চিলি, চিকেন চিলি লেমন, থাই ফ্রাইড রাইস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ, চিকেন কর্ন স্যুপ, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন ক্লাব স্যান্ডউইচ, ট্রাম্প সাবওয়ে স্যান্ডউইচ, চিকেন চিজ পাস্তা রেড, ট্রাম্প স্পেশাল চিকেন সালাদ, পিওর মাল্টা জুস, সুইট লাচ্ছি, চকোলেট মিল্ক্ক শেক, আইসক্রিম, ফালুদা, ব্ল্যাক কপি ও ট্রাম্প ককটেল।

আমারসংবাদ/জেডআই