বিশের চেয়ে একুশ কী আরও ভয়ঙ্কর!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হিটলারের উত্থান, কমউনিজমের পতন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের হত্যা, ইস্রায়েল রাষ্ট্রের গঠনের  মতো ঘটনার ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন তিনি। অনেক আগেই নাকি ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে এক মাহামারীর ভবিষ্যতবাণীও করেছিলেন তিনি। তবে ২০২১ সাল নিয়ে করা নস্ট্রাদামুসের নতুন এক ভবিষ্যতবাণী সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারো ঝড় তুলেছে। 

নসট্রাদামুস বা মিশেল দ্য নোস্ত্রদামের ভবিষ্যতবাণী এখনও বিশ্ববাসীকে নাড়া দেয়। তিনি ছিলেন একজন ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা। ১৫৫৫ সালে তিনি মোট ৯৪২টি ভবিষ্যতাবাণী করেছিলেন। তার বেশিরভাগই মিলে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়ে থাকে। তবে নস্ট্রাদামুসের ভবিষ্যবাণীর ভাষা ও তার ইঙ্গিত নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে অনেক।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, নস্ট্রাদামুস অনেক আগেই ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে এক মাহামারীর ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের জন্য তাঁর ভবিষ্যতবাণী নাকি আরও ভয়ঙ্কর। সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি, ২০২১  সালের জন্য নস্ট্রাদামুসের একটি ভবিষ্যতবাণী ছিল, রাশিয়ার এক জৈব বিজ্ঞানী এমন এক জৈবাস্ত্র তৈরি করবেন যা ধ্বংস করে দেবে গোটা পৃথিবীর মানুষকে।

অন্যদিকে, বিজ্ঞানী মহলের একাংশের দাবি, পৃথিবী ধ্বংসের আগে ঘন ঘন প্রকৃতিক বিপর্যয়, দুর্বিক্ষ, মহামারী, ভূমিকম্প হবে। করোনা মহামারীর পরও পৃথিবীতে বিশাল খাবারের সংকট হতে পারে বলে মনে করছে কেউ কেউ। 

গোটা পৃথিবীতে বর্তমানে ৫০ শতাংশ মানুষ বসাবস করেন সমুদ্র উপকূলবর্তি এলাকায়। এখন যেভাবে উষ্ণায়ণ হচ্ছে তাতে রোজই বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। ফলে কোনও একটা সময় উপকূলবর্তি অঞ্চল সমুদ্রের জলে ডুবে যাওয়াও অসম্ভব কিছু নয় বলেও মনে করছেন অনেকে।

আমারসংবাদ/এডি