Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

শিক্ষক উৎপলকে হত্যার কারণ জানালেন জিতু

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুলাই ৬, ২০২২, ০৮:০১ পিএম


শিক্ষক উৎপলকে হত্যার কারণ জানালেন জিতু

প্রেমে বাধা দেওয়ায় ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে  শিক্ষক উৎপল কুমারকে (সরকার) হত্যা করেন শিক্ষার্থী আশরাফুল আহসান (জিতু)। 

বুধবার (৬ জুলাই) আশুলিয়ার হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জিতু (১৯) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন। 

ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন আসামি জিতু। রাজীব হাসান জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আশরাফুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জিতু বলেছেন, তার প্রেমিকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অনেক দিন থেকে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক। দুজন একসঙ্গে কলেজে ঘোরাঘুরি করতেন। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে জিতু তার প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে কেক খাচ্ছিলেন। তখন সেখানে আসেন কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার। তিনি জিতু ও তার প্রেমিকাকে বকাবকি করেন। তখন জিতুও শিক্ষক উৎপলকে গালিগালাজ করেন।

জবানবন্দিতে জিতু আরও বলেন, এ ঘটনার পর শিক্ষক উৎপল কুমার জিতু ও তার প্রেমিকার অভিভাবকের কাছে অভিযোগ দেন। এর জের ধরে আশরাফুলের প্রেমিকা কলেজে আসা বন্ধ করে দেন। পরে জিতু পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাড়ি থেকে একটি ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প নিয়ে সেদিন কলেজে আসেন। শ্রেণিকক্ষের পেছনে সেটি লুকিয়ে রাখেন। কলেজ মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে শিক্ষক উৎপল কুমারকে মাঠের এক কোণে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্টাম্প দিয়ে অতর্কিত তাকে বেধড়ক আঘাত করেন। শিক্ষক উৎপলকে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করা হয়। তখন অপর কলেজশিক্ষক শরীফ জিতুকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তবে মাটিতে লুটিয়ে পড়া শিক্ষক উৎপলকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে জিতু পালিয়ে যান।

জবানবন্দিতে জিতু আরও বলেন, তিনি পালিয়ে প্রথমে মানিকগঞ্জ যান। পরে চলে যান পাবনায়। পরে সেখান থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরে আসেন।

এর আগে গতকাল জিতু আহসানের বাবা উজ্জ্বল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল ও কলেজে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন জিতু। তিনি ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক উৎপল কুমারের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই আশরাফুল পালিয়ে যান। গত বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব পরে আশরাফুলের জন্মসনদ ও জেএসসির সনদ পরীক্ষা করে শিশু আদালত বলেছেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

এবি

Link copied!