Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: তাজুল

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুলাই ১৭, ২০২২, ০৪:১৫ পিএম


সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: তাজুল

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। কয়েক বছর আগেও দেশে ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

কিন্তু মন্ত্রণালয়ের শক্ত অবস্থান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরের তদারকি, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের পরিশ্রমের কারণে ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রোববার (১৭ জুলাই) রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হলরুমে গ্লোবাল স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড স্বেচ্ছাসেবক প্রতিবেদনের সূচনা ২০২০ : অন্তর্ভুক্তিমূলক, ভারসাম্যের দিকে স্বেচ্ছাসেবীকে শক্তিশালী করা বাংলাদেশে সমাজ ও এসডিজিতে সহায়তা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বিগত দুই তিন বছরে কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকজন মারাও গিয়েছেন। কিন্তু সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালো ছিল এবং এখনও পর্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে।

তাজুল ইসলাম জানান, এ বছর ঢাকায় এখন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর যে অবর্ণনীয় কষ্ট হতো সেটি কিন্তু এখন আর নেই। কারণ, ঢাকা ওয়াসা থেকে সিটি কর্পোরেশন নিকট খালগুলো হস্তান্তর করায় দুই মেয়র জনগণকে সাথে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। অবৈধভাবে দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করে সংস্কার, খনন-পুনঃ খনন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন; যে কারণেই আজকের এই সুফল।

ঢাকা শহরসহ সারা দেশে বর্তমানে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ময়লা আবর্জনা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসে। এটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। সরকার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং খুব শীঘ্রই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলেও তিনি জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ ভলান্টিয়ারের একটি অনুষ্ঠানে অংশ তিনি জানতে পারেন, বাংলাদেশে কোনো স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা নেই। সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের অনুরোধ জানালে তিনি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে তার সম্মতি নিয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। নীতিমালা প্রণয়নে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে অনেকগুলো সভা এবং তৃণমূল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং মন্ত্রিপরিষদে এই নীতিমালা প্রণয়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

এবি

Link copied!