Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে দাবাই রাখা যাবে না: আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

আগস্ট ১৫, ২০২২, ০৩:৩৯ পিএম


বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে দাবাই রাখা যাবে না: আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী

আইন বিচার ও বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, যে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে দাবাই রাখা যাবে না, শেখ হাসিনা এটাই প্রমাণ করেছে যে বঙ্গবন্ধুর রক্তকে দাবাই রাখা যায় না এবং বঙ্গবন্ধুর রক্তকে যখন দাবাই রাখা যায় না তখন বাংলার মানুষকে ও দাবাই রাখা যায় না।

আমরা ১৯৭৫ সাল দেখেছি, আমার বয়স তখন ১৯, আমরা দেখেছি বাংলার মানুষের চোখ দিয়ে পানি পড়া, আমরা দেখেছি বেইমানের অট্টহাসি, আমরা দেখেছি মীরজাফরের চেহারা আমরা সব দেখেছি, তারপরেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছি এবং আমি আপনাদের বলতে চাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ে ছেড়ে দেবেন।

সোমবার দুপুরে আখাউড়া রেলস্টেশন চত্তরে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ দের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্ত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল, ইউএনও অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া-কসবা সার্কেল এএসপি কামরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা পিয়ারা আক্তার প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, যদি ১৫ আগস্টে মিথ্যা জন্ম দিন পালন না করে উনারা একটু স্বচেষ্ট হতেন এই খুনিদের ফিরিয়ে আনতে তালে পথটা কিন্তু আমাদের জন্য সুগম হত। সেইটা না করে বিএনপি সরকার, এরশাদ সরকার, খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকার এইসব সরকার কিন্তু এদের কে বিদেশে চাকরিও দিছেন এবং তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।

এমনকি খুনি ডালিমের স্ত্রী যখন মারা গেছে তার লাশ যখন বাংলাদেশে আসছে তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মূখ্য সচিব পর্যন্ত এয়ারপোর্টে গেছেন রিসিভ করতে। এটাও আমি জানি এবং তাদেরকে এই পালিয়ে যেতে সুযোগটা দিয়ে আজকে আমাদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছেন।  

আইনমন্ত্রী বলেন আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতার কারণে বঙ্গবন্ধর তিনজন খুনির হদিস নেই। তারা কোথাই আছে কেউ জানে না। এই তিনজনকে ধরে রায় কার্যকর না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের খোঁজা হবে। ইঁদুরের গর্তে গিয়েও লুকিয়ে থাকতে পারবে না।

সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুর ঋণ শোধ করার। আমরা সবাই মিলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করে সোনার বাংলার গড়ার তার যে প্রত্যয় এবং কর্ম সেটাকে যদি সফল করতে পারি তা হলেই কিন্ত আমরা আমাদের জাতি পিতাকে বলতে পারব, তোমার স্বপ্ন বাস্তবায় করতে পেরেছি। তুমি সারা জীবন যে জন্য যুদ্ধ করেছ আমরা সেটাকে সত্য করেছি।

মন্ত্রী বলেন সময় এখন কঠিন চলছে। সারা বিশ্বে সকল কিছুর অভাব। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কঠিনত্ত আছে। বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট শেখ হাসিনা বুঝে আমিও বুঝি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি কষ্ট লাঘবের জন্য।

এর আগে মন্ত্রী ট্রেনে চেপে আখাউড়া রেলস্টেশনে নামেন শোক র‌্যালীতে অংশ নেয়। উপজেলা চত্ত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এআই

 

Link copied!