নুরুল ইসলাম সুমন, চকরিয়া (কক্সবাজার)
জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত পথসভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে চকরিয়া পৌর শহরের জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ট্রাকের ওপর তৈরি করা মঞ্চে বিকেল পাঁচটায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, ওইদিন দুপুরে কক্সবাজার শহরে এক সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এতে দলটির নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কক্সবাজারজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। বিকেল চারটা থেকে চকরিয়ায় মহাসড়কে মিছিল বের করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সালাহউদ্দিনের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দুপুর থেকে এনসিপির পক্ষ থেকে মঞ্চ তৈরি করে মাইকিং করা হচ্ছিল। বিকেল পৌনে চারটার দিকে হঠাৎ কিছু লোক লাঠিসোটা নিয়ে এসে মঞ্চে হামলা চালান এবং মাইকিংকারী কর্মীদের সরিয়ে দেন।
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ট্রাক মঞ্চটি ভেঙে ফেলে, সমাবেশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং ট্রাকের কাচ ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এম. এম. সুজা উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “চকরিয়ায় আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা মঞ্চ ভাঙচুর করেছে। এ কারণে অনুষ্ঠান হয়নি। আমাদের নেতা-কর্মীরা পরে নিরাপদে চকরিয়া ত্যাগ করেছেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় আমরা আতঙ্কিত ছিলাম।”
এদিকে, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “মঞ্চ ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। এনসিপির নেতারা চকরিয়ায় নামেননি, তারা ফিরে গেছেন।”
এ ঘটনার সময় সাংবাদিক রুবেলসহ কয়েকজন সাংবাদিকের মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে পরবর্তীতে সেগুলো ফেরত দেওয়া হয়।
ইএইচ