Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

করোনায় তৎপর আনসার ও ভিডিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৬, ২০২০, ০৮:৫১ পিএম


করোনায় তৎপর আনসার ও ভিডিপি

বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও মহামারি করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করছে। প্রতিরোধে তৎপর হয়ে উঠেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এ বাহিনী করোনা ভাইরাসের মরণ ছোবল থেকে দেশের জনগণকে রক্ষায় সহায়তাসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা।

গতকাল সোমবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাস্সুম রেবিন এ সব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ব্যাটালিয়ন আনসার, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বর্তমানে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা এবং এর প্রভাব বিস্তাররোধে সকল জেলা, উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়োজিত থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

বাহিনীর সদস্যরা করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষার্থে সমগ্র দেশের লকডাউন পরিস্থিতিতে জনগণকে ঘরে থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পরামর্শ দিচ্ছে। এছাড়া সদস্যরা সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নকল্পে দেশের বিভিন্ন এলাকায় টহল ও পেট্রোল ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছে।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, দুঃস্থ ও হতদরিদ্র জনগণের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়া জনকল্যাণে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরসহ প্রতিটি রেঞ্জ কার্যালয়ে জরুরি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশে বাহিনীর জেলা, উপজেলা ও ব্যাটালিয়ন ইউনিট কার্যালয়সহ প্রতিটি কার্যালয়ের সামনে জনসাধারণ ও নিজেদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার সরঞ্জামাদিসহ বেসিন স্থাপন এবং পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিশাল এ বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট কার্যালয়ের সদস্য-সদস্যারা এবং তৃণমূলপর্যায়ের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড দলনেতা, দলনেত্রী ও ভিডিপি, টিডিপি সদস্য-সদস্যরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাহিনীর প্রস্তুতকৃত লিফলেট জনগণের মাঝে বিতরণ করেছে এবং অব্যাহত রয়েছে এ কার্যক্রম।

বিতরণকৃত লিফলেটে করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, ভাইরাসের লক্ষণ, রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয় এবং মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া সদস্যরা জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করছে।

করোনার সতর্কতার অংশ হিসেবে ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে জনগণকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। বিশেষ করে বাহিনীর সদস্যরা বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীদের সরকার নির্দেশিত কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করছে।

তৃণমূলপর্যায়ের সদস্যগণ সরকারি তালিকা অনুযায়ী প্রবাসীদের প্রত্যেকের বাড়ির ওপর নজরদারি করছে এবং বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে স্থানীয় প্রশাসনকে করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আমারসংবাদ/এসটিএমএ