Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

‘রূপকথার রূপম তিনি

জুলাই ২১, ২০২০, ০৬:১৮ এএম


‘রূপকথার রূপম তিনি

মেয়েটির নাম রূপম। গ্রামের বাড়ি তার শরীয়তপুরের জাজিরায়। মজিবুর রহমান ও শুকুর জাহান দম্পতির আদরের মেয়ে রূপম। পড়াশোনা করেছেন গ্রামেরই স্কুলে। একসময় বুকে অজানা স্বপ্নকে লালন করে পড়াশোনা শুরু করেন রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে টেক্সটাইল বিষয়ে। শেষ করেন অনার্স ও মাস্টার্স।

২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এখন দুই সন্তান অরণ্য ও আরাভ। জাজিরার সেই রূপম একসময় চাকরি শুরু করেন রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের স্মাইল গার্ডেন স্কুলে। কিন্তু গেলো ফেব্রুয়ারি মাস অর্থাৎ বিয়ের মাসটি ছিলো তার জীবনের জন্য একটি অন্যরকম দিন। রূপম নিজে উপটান তৈরি করে নিজেই ব্যবহার করতেন।

একসময় তার ত্বকের মসৃণতা দেখে তার কাছের মানুষেরা প্রশ্ন করেন, তার ত্বকের মসৃণতা নিয়ে। রূপম বেশ অনায়াসেই স্বীকার করেন তার নিজের তৈরি উপটানের কথা। চেনা জানা সবাই তার কাছে সেই উপটান চাইতে শুরু করেন।

কিন্তু যারা নিয়মিত চাওয়া শুরু করেন তারাই মূলত তাকে অর্থের বিনিময়ে তা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। যে কারণে গেলো ফেব্রুয়ারিতে রূপম নিজেই উপটান বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজে শ্রম দিয়ে তৈরি শুরু করলেন। তার তৈরি পণ্য সম্পর্কে সবাই যেনো খুব সহজে অবগত হতে পারেন সে কারণে তিনি তার তৈরি পণ্যের নাম নিজেই রাখলেন ‘রূপকথা’।

এই নামে ফেসবুকে একটি পেজও আছে। করোনার কারণে মাঝে উপটান তৈরিতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও এখন আবার রূপম উপটান তৈরিতে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। এখন শুধুই উপটান নয় এর পাশাপাশি তিনি হেয়ার প্যাকও তৈরি করছেন।  

রূপম বলেন, ‘এতটা সাড়া পাবো ভাবিনি। আমার বড় বোন ঝরনা আপু, শিল্পী আপু, রীণা আপু, রুমা আপু আমাকে সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি আমার বন্ধু-বান্ধব যারা আছেন এবং শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আছেন তারাও আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। যে কারণে আমি আমার কাজে ধারাবাহিকতা রেখেছি।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার স্বামী মারুফও আমাকে খুব সহযোগিতা করছে এবং অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।’আমার দুই সন্তান আমাকে সহযোগিতা করেন। মূলকথা পরিবারের সহযোগিতা পাচ্ছি বলেই রূপকথা’কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি।

ভবিষ্যতে কী হয় জানিনা, তবে অনেকের মতো আমিও রূপকথা’কে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখি।’ একজন রূপম’র রূপকথাকে ঘিরে মনের ভেতর থাকা স্বপ্ন পূরণ হোক, এমনটাই প্রত্যাশা থাকলো।

আমারসংবাদ/এআই