নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২২, ২০২০, ০৮:১৫ পিএম
২০২২ সাল থেকে ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছরমেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক প্রেসনোটে বলা হয়, সারা দেশে ৫+ বয়সি শিশুদের জন্য বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখার পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ প্যাকেজ অনুযায়ী ২০২১ সালে নির্বাচিত ২৬৩৩টি ক্লাস্টারে ২৬৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি ৪+ বয়সি শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
২০২২ সালে সারা দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের কাছে গতকাল তার অফিস কক্ষে দুই বছরমেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ৪+এর অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজ হস্তান্তর করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবির সদস্য প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, উর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর কুররাতুল আয়েন সফদার, ও গবেষণা কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাসার। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের একটি গভীর সংযোগ রয়েছে।
প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা ছোট ছোট শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধবৃত্তিক,ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এ ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অর্ন্তবর্তীকালীন প্যাকেজের মাধ্যমে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ৫+ বছর বয়সি শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে ২০১৪ সালে ৫+ বয়সী শিশুদের জন্য সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
আমারসংবাদ/এসটিএম