Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

ধীরগতির প্রকল্প অগ্রাধিকার দিয়ে মনিটরিং করা হবে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

নভেম্বর ২৫, ২০২০, ০৬:১০ পিএম


 ধীরগতির প্রকল্প অগ্রাধিকার দিয়ে মনিটরিং করা হবে

বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, আমরা সরকারি কর্মচারী, সরকারের কাজ করি। প্রকল্প মনিটরিং (দেখি) করি। এই দেখাটা যাতে দেখারমতো হয়। কাউকে ধরাধরি কাজ নয় আইএমইডির। আঘাত ও কষ্ট দেয়ার জন্য না।

প্রকল্পের ভুল সংশোধনের জন্য কাজ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও এজেন্সির সাথে সমন্বয়ের কাজ করে আইএমইডি। বড় বা বেশি বাস্তবায়ন হয় এমন প্রকল্প নয়, ধীরগতির প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে মনিটরিং করা হবে। জানা হবে কারণ।

গতকাল শেরে-ই বাংলানগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সাথে সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শুদ্ধাচার উত্তমচর্চা বিষয়ে গণমাধ্যকর্মীদের সমন্বয়ে অংশীজন’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএমইডি উপসচিব মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

এসময় বিভিন্ন সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালের গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে উন্নয়ন কাজে আইএমইডির দায় আছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, সুষ্ঠুভাবে ও কোয়ালিটিসম্পন্ন কাজ করতে উদ্যোগী মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকেই সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ কাজটা তো তাদের। তাদের আমরা সহায়তা করি। দেখে থাকি কোয়ালিটিসম্পন্ন হচ্ছে কি না। আইএমইডি কাউকে (কর্মকর্তাদের) ধরার জন্য কাজ করে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন (নির্দেশানা) মেনেই আইএমইডি কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় তথ্য পেয়ে সাংবাদিকরা ভালো নিউজ করেন। গণমাধ্যমের মাধ্যমে ত্রুটি ধরা পড়ে, প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়। দায়িত্ব নিয়ে মনিটরিং কাজে কিছুটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে এই সচিব বলেন, প্রায় এক হাজার ৭০০ প্রকল্প চলামান। কিন্তু লোকবল ৩৩৮ জন।

এতো সীমিত লোক দিয়ে সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তা দেখা সম্ভব না। তারপরও অগ্রাধিকারভিত্তিতে চেষ্টা করা হচ্ছে উন্নয়ন কাজ। কাজের ভালোর জন্য আইএমইডিকে ডি-সেন্ট্রালাইজেশন করার প্রক্রিয়া চলমান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে।

সচিব বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সামপ্রতিক একটা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমরা সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে ঢালাওভাবে ডাকবো না। বেশি নয়, যাদের মধ্যে শূন্য থেকে ৫ শতাংশ প্রকল্পের অগ্রগতি তাদের ডাকবো। তাদের সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করবো। মনিটরিং করবো।

আইএমইডির কর্মকর্তাদের চোখ আরও বেশি অনুসন্ধানী হওয়া উচিত। সরকারি নির্দেশ মেনে শতভাগ কাজ করতে চাই আইএমইডি দেশের জন্য, জাতির জন্য। কারণ এ কাজের জন্য বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ১৯৮২ সালে এর জন্ম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আমারসংবাদ/এআই