কুমিল্লা প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৫, ২০২০, ০৬:০০ পিএম
কুমিল্লার আদালতে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির (৩০) হাতকড়া পরা অবস্থায় বিয়ে হয়েছে। ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে মামলার বাদির সঙ্গে গত মঙ্গলবার তার বিয়ে হয়। এরপর আসামি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আর কনে গ্রামের বাড়ি ফিরে যান।
গতকাল বুধবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওই আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরেছেন। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার ও আদালতের একটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভাঙ্গা পুষ্করিণী গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে একই উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের ওই ব্যক্তির মুঠোফোনে পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাদের একান্ত মুহূর্তের কিছু ভিডিও করে রাখেন ওই ব্যক্তি। এরপর ওই ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অন্তত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সেই ভিডিও তিনি প্রবাসী স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠান।
এসব কারণে ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে গত অক্টোবরে তালাক দেন। এ অবস্থায় সংসার হারিয়ে ওই মাসেই ওই নারী চৌদ্দগ্রাম থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর এ নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মাধ্যমে বিষয়টি আপস করার কথা উঠলে ওই গৃহবধূ বিয়ের শর্তে আপসে রাজি হন। উভয়ের পরিবার বিয়ের সিদ্ধান্ত মেনে আদালতে আসে। মঙ্গলবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাব উল্লাহ আপসের শর্তে ওই ব্যক্তিকে জামিন দেন এবং আদালত প্রাঙ্গণে বিয়ের নির্দেশনা দেন।
পরে কাজী মাওলানা মো. অলি উল্লাহ ভূঁইয়াকে ডেকে এনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। দেনমোহর ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। বাদি ও আসামির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এখন আপসের কারণে আদালত জামিন দিয়েছেন এবং বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।
তারেকুল আলম, আসামিপক্ষের আইনজীবী। বাদিপক্ষের আইনজীবী সরকার গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাদি ও আসামিপক্ষ এলাকায় বিয়ের শর্তে আপস করে এসেছে।
আমারসংবাদ/এসটিএম