Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

জয়ের খোঁজে মুশফিকের ঢাকা

নভেম্বর ২৫, ২০২০, ০৬:২০ পিএম


জয়ের খোঁজে মুশফিকের ঢাকা

বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অপ্রত্যাশীতভাবে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে দুই রানে হেরে গেছে মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা। তাই আজকের ম্যাচে জয়ে ফিরতে চায় তারা। মিরপুরে দিনের প্রথম ম্যাচে দুপুর দেড়টায় রাজশাহীর মুখোমুখি হবে জেমকন খুলনা।

দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মুখোমুখি হবে মুশফিকের ঢাকা। প্রথম ম্যাচে  ৪১ রানের ইনিংস খেলে বলতে গেলে দলের পক্ষে একাই লড়ে গেছেন মুশফিক।

তবু থেকে গেছেন পরাজিত দলে। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মুশফিক পরের ম্যাচে ভুলগুলো শুধরাতে চান। পরের ম্যাচে ভুল শুধরাতে চান মুশফিক। আমার সংবাদকে তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচেই বিচার করা খুব কঠিন। আমি মনে করি শুরুটা খুব ভালো হয়েছে।

ব্যাটসম্যানদের ব্যাপারে যদি বলেন, টি-টোয়েন্টিতে ৩০-৪০ রান করে ম্যাচ জেতা অনেক কঠিন।’ মুশফিক ছাড়াও ভালো শুরু পেয়েছিলেন নাঈম শেখ ও আকবর আলী। তবে কেউই ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। মুশফিক বলেন, ‘আমরা যারা সেট হয়েছি তাদের একজন যদি ৬০-৭০ করতাম তাহলে ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকতো।

তবে আমি সত্যিই খুশি যে সবাই ভালো শুরু পেয়েছে। সবাই ভালো টাচে আছে এটা ভালো লক্ষণ। আশা করি যারা টাচে আছে তারা পরের ম্যাচে বড় রান করবে।’ ম্যাচে পরাজয়ের মূল কারণ কী বোলাররা? রাজশাহীকে একপর্যায়ে চেপে রাখলেও শুরুর সাফল্য ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ছিলো না।

আমার সংবাদকে মুশফিক আরো বলেন, ‘বোলারদের ব্যাপারে যদি বলেন, এক্সিকিউশন একটু এদিক-ওদিকে ছিলো। আমার মনে হয় প্রথম ম্যাচ বলে নার্ভ বা কনফিডেন্সের কারণে এরকম হয়েছে। সেটা যেকোনো দলের জন্য হতে পারে। আমরা চেষ্টা করবো পরের ম্যাচে ভুলগুলো না করতে।’ ‘মোমেন্টামটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের নিশ্চিত করতে হবে পরের ম্যাচে যেনো ভুলগুলো কম করি। প্রসেসগুলো ঠিক করলেই ম্যাচ জিততে পারবো। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আসলে দুই-তিনজন ভালো করলেই যেকোনো দিন ভালো যায়। ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করবো পরের ম্যাচে ভালো করতে।’

অন্যদিকে নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে খুলনা। জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া আরিফুলের ব্যাটিং তাণ্ডবে জয়ে শুরু করল সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিলো ৩৫ রান।

১৮তম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে শামিম হোসেনের উইকেট তুলে নেন সুমন খান। ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। সেই ওভারে জাতীয় দলের এই তারকা পেসার খরচ করেন মাত্র ৭ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ২২ রান।

খেলার এমন অবস্থায় নিশ্চিত জয়ের সুবাস পাচ্ছিল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বরিশাল। আগের তিন ওভারে ৪ গড়ে মাত্র ১২ রানে এক উইকেট শিকার করা জাতীয় দলের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে শেষ ওভারে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক তামিম।

কিন্তু আগের তিন ওভারে ভালো বোলিং করলেও শেষ ওভারে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারেননি মিরাজ। আরিফুল হক ঠা্লা মাথায় ওভারের প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর ছক্কা হাঁকিয়ে নির্ধারিত ওভারের এক বল আগেই দলের জয় নিশ্চিত করেন। বরিশালের বিপক্ষে ১৫৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় মাত্র ৪ রানে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় খুলনা। ১৭ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ১৩মাস পর খেলায় ফেরা সাকিব আল হাসান ফেরেন ১৩ বলে ১৫ রান করে। ৩৬ রানে বিজয়, ইমরুল, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে খেলায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান জহুরুল ইসলাম অমি ও আরিফুল হক।

পঞ্চম উইকেটে তারা ৪২ রানের জুটি গড়েন।  ২৬ বলে ৩১ রান করে আউট হন জহিরুল। এরপর শামিম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৪৪ রানের ?জুটি গড়েন আরিফুল। ১৮ বলে ২৬ রান করে ফেরেন শামিম। শেষ ওভারে পাঁচ বলে চার ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন আরিফুল। দলের জয়ে ৩৪ বলে চার ছক্কা আর দুই চারের সাহায্যে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক।

আমারসংবাদ/এআই