Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

ম্যারাডোনাকে হারিয়ে কাঁদছে বিশ্ব

নভেম্বর ২৬, ২০২০, ০৬:০০ পিএম


ম্যারাডোনাকে হারিয়ে কাঁদছে বিশ্ব

মানুষের কতটা গভীরে ছিলেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সেটি হয়তোবা মৃত্যুর আগে চিন্তাই করেননি তিনি। পুরো বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে ফুটবল ইশ্বর পাড়ি জমালেন আসল ইশ্বরের কাছে। হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার নিজ বাসায় মারা যান তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তি। মৃত্যুকালে ম্যারাডোনার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

 গত মাসে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। বুয়েন্স আয়ার্সের হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে থাকা রক্ত অপসারণ করা হয়েছিল। তখন মাদকাসক্তি নিয়ে ভীষণ সমস্যায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা। দিয়োগো ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর শোকে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। প্রিয় ফুটবল তারকার বিদায় মেনে নিতে পারছেন না তার ভক্তরা।

বিভিন্ন আবেগঘন কথা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাসাচ্ছেন ম্যারাডোনা ভক্তরা। এত তাড়াতাড়ি এভাবে সবাইকে ছেড়ে ওপারে পাড়ি জমাবেন ভাবতে পারেননি ফুটবল ইশ্বরপ্রেমীরা। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গানে এমন কোনো মানুষ নেই যে ফুটবল ইশ্বর ম্যারাডোনাকে চিনবেন না।

দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার জন্ম ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর। বুয়েন্স আয়ার্স রাজ্যের একটি শহর লেনাসের এভিটা হাসপাতালে। বাবা দিয়েগো ম্যারাডোনা সিনিয়র, মা দালমা সালভাদর ফ্রাঙ্কো, স্ত্রী ফিয়ান্সি ক্লদিয়া ভিয়াফানিয়ে, সন্তান দালমা নেরেয়া, হিয়ানিয়া দিনোরাহ, দিয়েগো ফেরন্যান্দো। লাতিন আমেরিকার আর আট-দশটা ফুটবলারের গল্পের মতোই ম্যারাডোনার উঠে আসার গল্পটা। খুবিই দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন।

জীবিকার সন্ধানে তার মা-বাবা কোরিয়েন্তেস রাজ্য থেকে পাড়ি জমিয়ে আসেন লেনাসে। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন বুয়েন্স আয়ার্সের এক উপশহর ভিলা ফিওরিটোয়। মা-বাবার প্রথম চার কন্যার পর জন্ম হয় ম্যারাডোনার। তারপর আরও দুটি ভাই রয়েছে ম্যারাডোনার। একজনের নাম হুগো, অন্যজনের নাম রাউল। দুজনই ছিলেন পেশাদার ফুটবলার।

ম্যারাডোনার মাথার ওপরের ছাদটা এমনই বিপজ্জনক ছিলো, যেকোনো দিন সেটা ধসে যেতে পারতো। পুলিশ এসে নিয়মিত দেখতো, সেই বাসাটা আস্ত আছে কি-না। সেই বস্তির সামনে কাদা আর আবর্জনার পাক, ছোট্ট দিয়েগো মাঝে মাঝে পড়ে যেতো তাতে। চাচা চেঁচিয়ে উঠত, ‘পাঁকে ডুবে যাস না যেনো, মাথাটা ভাসিয়ে রাখ।’

দিয়েগো সেটাই মনে রেখেছিল। পংকের মধ্যে পরেও ডুবসাঁতার কেটে ঠিক চলে গেছে কিনারায়। ছেলেবেলায় এমন কোনো কাজ নেই, যেটা তাকে করতে হয়নি। ট্যাক্সিচালকের সহকারী থেকে ময়লাকুড়ানি, টোকাই থেকে কত ধরনের কাজ করতে হয়েছে।

কে জানে, ময়লা কুড়াতে গিয়ে ভাঙা কাচ এড়িয়ে চলার যে কায়দা শিখেছিল, সে জন্যই বোধ হয় একের পর এক ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে স্বপ্নের ওই গোল করতে পেরেছিলেন। ম্যারাডোনার মতো মুদ্রার দুই পিঠ সম্ভবত আর কোনো ফুটবলার কেন, খুব কম মানুষই দেখেছে। প্রথম যখন খেলতে গিয়েছিল, আর্জেন্টিনো জুনিয়রস থেকে বলা হয়েছিল এই ছেলের বয়স নির্ঘাত আটের চেয়ে বেশি। আবার ডাক্তার ডাকা হলো, সার্টিফিকেট দেখা হলো।

ম্যারাডনা খেলার সুযোগ পেলেন, আর বাকিটা ইতিহাস। ১১ বছরের মধ্যে একেবারে পত্রিকার প্রথম পাতায়। ১৫ বছরের মধ্যে পেশাদার চুক্তি, এরপর শুধু একটার পর একটা সিঁড়ি তরতর করে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু এর মধ্যেও ম্যারাডোনা বারবার মেজাজ হারিয়েছেন। স্কুলে তাকে গ্রেস দিয়ে পরের ক্লাসে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু এর মধ্যেই মারামারি করে গেছেন সবার সাথে।

 বোকার আর্থিক সুবিধার জন্য শরীরের কথা চিন্তা না করে কিশোর ম্যারাডোনাকে খেলে যেতে হয়েছে একের পর এক ম্যাচ, পরে শরীর পাই পাই করে সেটার শোধ তুলেছেন। কিন্তু ম্যারাডোনা পেশাদার হতে পারেননি, সারা জীবনই তো নিজের এই মর্জিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

যেখান থেকে উঠে এসেছেন, সেখান থেকে একবার ওপরে উঠে গেলে শুধু তরতর করে এগিয়ে যাওয়াই ছিলো প্রায় সবার নিয়তি। কিন্তু মানুষটা ম্যারাডোনা বলেই ওপরে উঠতে উঠতে মাথা ঘুরেছে, এরপর ধপাস করে পড়ে গেছেন।

সেই পড়ে যাওয়ার শুরু বার্সেলোনা থেকে, প্রথম যখন কোকেনে আসক্তি শুরু হয়। তবে সত্যিকার অর্থে, ম্যারাডনা লার্জার দ্যান লাফ হয়েছেন নাপোলিতে এসে। সেই নেপলস, ইতালির দক্ষিণের যে গেঁয়ো শহরকে তাচ্ছিল্য করত উত্তরের অভিজাতেরা।

যার নাম শুনলে তুরিন, মিলান নাক সিটকাত। নাপোলির সঙ্গে মযাচে তাই দুয়ো দিতো উত্তরের দর্শকেরা, ‘কলেরায় মরুক সব, ভূমিকম্পে নিপাত যাক’। সেই নাপোলিই যখন দলবদলের রেকর্ড গড়ে ম্যারাডোনাকে নিয়ে এলো, স্তাদিও সান পাওলোতে ম্যারাডোনাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এসেছিলেন ৮৫ হাজার দর্শক।

 সেদিন সংবাদ সম্মেলনেই ম্যারাডোনাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাকে কেনার জন্য এত টাকা নাপোলি কি মাফিয়াদের কাছ থেকে পেয়েছে? ম্যারাডোনার সাথে নেপলসের মাফিয়া, বিশেষ করে কামোরার সম্পর্ক নিয়ে এরপর অনেক কানাঘুষা হয়েছে, আর অপরিহার্য অনুষঙ্গের পর সেখানে এসেছে ড্রাগস আর নারী। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দুজনের সঙ্গেই তার নাম জড়িয়েছে অনেকবার। মেসি ও রোনালদো দুজনই শোক জানিয়েছেন সামাজিক

যোগাযোগমাধ্যমে। মেসির চোখে ম্যারাডোনা চিরন্তন, ম্যারাডোনার মৃত্যু নেই। আর রোনালদো মনে করেন, ম্যারাডোনাকে কখনো ভোলা যাবে না। ম্যারাডোনার জন্য বিদায়ী বার্তা লিখতে হলো পেলেকে, ফুটবলের সম্রাট স্মরণ করলেন ফুটবল ঈশ্বরকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে পেলে লিখেছেন, ‘কী বেদনা! ফুটবল হারালো একজন কিংবদন্তিকে, আমি হারালাম একজন বন্ধুকে। অনেক কিছুই বলার আছে, আপাতত শুধু সমবেদনা পরিবারের সদস্যদের। আর একদিন আমরা অবশ্যই স্বর্গে একসঙ্গে ফুটবল খেলবো।’ ফিদেল কাস্ত্রো আর দিয়েগো ম্যারাডোনার সম্পর্ক ছিলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি কিছু। কিউবান নেতাকে বলতেন ‘দ্বিতীয় বাবা’। দুজনের মধ্যে এতটা মিল যে, চিরপ্রস্থানও হলো একই দিনে।

ম্যারাডোনার মৃত্যুতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শোক : ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের হূদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এবং যুগে যুগে তার ক্রীড়া নৈপুণ্য ভবিষ্যত ফুটবল খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’

প্রধানমন্ত্রী এই ফুটবল মহানায়কের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ ছাড়াও শোক প্রকাশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাফুফে, বিসিবিসহ দেশের সকল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে ক্রিকেট-ফুটবল দলের বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়রাও শোক প্রকাশ করেছেন।

মাশরাফি-সাকিবসহ দেশের ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে বিভিন্ন কথা লিখেছেন এই কিংবদন্তিকে নিয়ে। অন্যদিকে কাতারে অবস্থান করা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল শোক জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জামাল ভূঁইয়ারা ব্যক্ত করেছেন তাদের মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা কথাগুলো।

আর্জেন্টিনায় তিনদিনের জাতীয় শোক : ফুটবলের জাদুকর দিয়েগো ম্যারাডোনাকে হারিয়ে শোকে কাতর আর্জেন্টিনা। এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে দেশটির সরকার তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেসের এক শোকবার্তায় বলেছেন, ‘তিনি শুধু আমাদের আনন্দই দিয়েছেন। আমরা তার কাছে ঋণী।

রাজ্যের সব দুয়ার দিয়েগোর জন্য খোলা।’ আর্জেন্টিনার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেসের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক ছিলো ম্যারাডোনার। ক্রিস্টিনার শোকবার্তায় উঠে এসেছে প্রিয়কে হারানোর বেদনা। ‘ভীষণ বেদনার, ভীষণ। একজন গ্রেট চলে গেলো। বিদায় দিয়েগো, আমরা তোমাকে খুব ভালোবাসি।’

ম্যারাডোনার বর্ণিল ক্যারিয়ার : ফুটবল মাঠে পায়ের জাদুতে মানুষের মনে কীভাবে নিজেকে গেঁথে নেয়া যায়, খুব জানতেন তিনি। ?পৃথিবী ছেড়ে গেলেও তিনি চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন ভক্তকূলের হূদয়ে। এমন এমন সব কীর্তি গড়েছেন তিনি, সংখ্যায় আটকানো যায় না, যাবে না। ফুটবলকে যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন শিল্পের পর্যায়ে, তাকে কোনো মাপকাঠিতে বিচার করা সম্ভব নয়।

এরপরও ৬০ বছর বয়সে ওপারের বাসিন্দা হওয়া এই কিংবদন্তির অপরিসীম ক্যারিয়ারের কিছু তথ্য। ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ জিতেছেন একবার— শ্রেষ্ঠত্ব পরিমাপে এটাই আসবে সবার আগে। ১৯৮৬ সালে তিনি যেভাবে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন, এক কথায় ছিলো অবিশ্বাস্য। সাধারণ মানের একটি দলকে প্রায় একাই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন মেক্সিকোর আসরে।

 ক্লাব ফুটবলে ৯টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। সাফল্য পেয়েছেন বোকা জুনিয়র্স (১), বার্সেলোনা (৩) ও নাপোলিতে (৫)। নাপোলি তাদের ৯৪ বছরের ফুটবল ইতিহাসে জিতেছে দুটি সিরি ‘আ’ ও একটি ইউরোপিয়ান ট্রফি। এই তিনটিই এসেছিল ম্যারাডোনার সময়ে (সিরি ‘আ’ ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০, উয়েফা কাপ ১৯৮৮-৮৯)। ম্যারাডোনার বিদায়ের পর নাপোলি তাদের ১০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠিয়ে দেয়। নেপলসের ক্লাবটিতে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর খেলেছেন সাত বছর।

ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র ক্লাব হিসেবে আজীবনের জন্য জার্সি তুলে রেখেছে তারা ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। পেশাদার ফুটবলে ম্যারাডোনা খেলেছেন ২১ বছর। ১৬ বছর বয়সে আর্জেন্টাইনোস জুনিয়র্স দিয়ে শুরু করা পথচলা বোকা জুনিয়র্স দিয়ে থামেন ৩৮ বছর বয়সে। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচে ম্যারাডোনার গোল ৩৪টি। যা তাকে বসিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটির সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার পঞ্চম স্থানে।

ওপরে আছেন শুধু লিওনেল মেসি, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, সের্হিয়ো আগুয়েরো ও হের্নান ক্রেসপো। নাপোলির সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে নেপলস ছেড়েছিলেন ম্যারাডোনা। বর্ণিল ক্যারিয়ারে ইতালিয়ান ক্লাবটিতে করেছিলেন ১১৫ গোল। পরে তাকে টপকে গেছেন মারেক হামসিক ও ড্রিয়েস মেরটেন্স। ক্লাব ফুটবলে ম্যারাডোনার ৩১১ গোল। ক্যারিয়ারের নানা বাঁক পেরিয়ে সাফল্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে বসা এই কিংবদন্তি সবচেয়ে বেশি গোল পেয়েছেন আর্জেন্টাইনোস জুনিয়র্সে (১১৬)।

এছাড়া গোল উৎসব করেছেন বোকা জুনিয়র্স (২৮), বার্সেলোনা (৩৮), নাপোলি (১১৫), সেভিয়া (৭) ও দ্বিতীয় মেয়াদে বোকা জুনিয়র্সে (৭)। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ম্যারাডোনা। ৩৪ বছর আগে ১৯৮৬ সালে তার হাতেই উঠেছিল আর্জেন্টিনার শেষ বিশ্বকাপ ট্রফি।

বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জেতা তিন আর্জেন্টাইনের একজন ম্যারাডোনা। বাকি দুজন হলেন মারিও কেম্পেস, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ ও লিওনেল মেসি, ২০১৪ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ইচ্ছাকরে হ্যান্ডবল করে ফাউল করা খেলোয়াড় ম্যারাডোনা (৭ বার)। ম্যারাডোনা গোল করতেন, করাতেন। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর থেকে তার চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট আর কারো নেই। এছাড়া বিশ্বকাপ মঞ্চে এই কিংবদন্তি নামের পাশে যোগ করেছেন আট গোল। চার বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচ খেলেছেন ম্যারাডোনা।

খেলেছেন দুটির ফাইনাল (১৯৮৬ ও ১৯৯০), যার একটিতে জিতেছেন। বিশ্বকাপে খেলা ওই ২১ ম্যাচে ম্যারাডোনা তৈরি করেছিলেন ৬৬টি সুযোগ। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর এত সুযোগ আর কেউ সৃষ্টি করতে পারেননি।

ডিফেন্ডাররা প্রায়ই ম্যারাডোনাকে আটকে ফাউল করতেন। না পারলে এমনিতেই লাথি মারতেন পায়ে। যে কারণে বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা একাই ফাউলের শিকার হয়েছেন ১৫২ বার, যা ১৯৬৬ বিশ্বকাপ পর থেকে সর্বোচ্চ ফাউলের রেকর্ড।

আমারসংবাদ/এআই