Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বীরের বেশেই সাফল্যময় পরিসমাপ্তি

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান

নভেম্বর ২৯, ২০২০, ০৫:৫৫ পিএম


বীরের বেশেই সাফল্যময় পরিসমাপ্তি

মাত্র ৯ মাসেই বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসকে (বিইউপি) অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এ সময়টিতে প্রচলিত শিক্ষার বিষয়সমূহের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা, যুদ্ধকৌশল, শিক্ষা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিসহ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিইউপি স্বকীয়-স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের স্বাক্ষর রেখেছে।  দেশের গণ্ডি ছাপিয়ে বিশ্ব মঞ্চেও নিজেদের পেখম মেলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

নিজের মেধা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার সমন্বয়ে ক্রমশ এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছেন। ঠিক সেই সময়েই এলো একটি সুসংবাদ। বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।

তিনি এখন নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি)। গত ২৬ নভেম্বর এনডিসির নতুন কমান্ড্যান্ট হিসেবে সরকার নিয়োগের আদেশ দিয়েছে। মাত্র স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের ‘অভিভাবক’ বিদায় নিলেও বীরের বেশেই হতে চলেছে তার সাফল্যময় পরিসমাপ্তি।

অনির্বচনীয় আনন্দের বারতায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত আতাউল হাকিম সারওয়ার হোসেন আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের প্রতি।

আমার সংবাদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান আমার ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন। আমি শতভাগ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে বদ্ধপরিকর।’

নিজের শৈশব জীবনে ইতিহাসের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরম সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এনডিসির নতুন কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের। সেই গল্পই মাত্র তিনদিন আগে বলেছিলেন বিইউপির বিদায়ী উপাচার্য।

নিবিষ্ট মনেই উচ্চারণ করেছিলেন— ‘১৯৭২ সালে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে যাওয়ার এবং তাকে খুব কাছ থেকে দেখার পরম সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। শিশু হিসেবে তিনি আমাকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। যার উষ্ণতা আমি আজও অনুভব এবং লালন করি।’

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন পাওয়া আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান সেনা কর্মকর্তা চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপাচার্যের দায়িত্ব পান। তার আগে যাশোরে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং ঢাকার এরিয়া কমান্ডার (লজিস্টিকস) হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

রামু সেনানিবাসের দশম পদাতিক ডিভিশনের প্রথম জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই জেনারেল সেনা সদর দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড হেডকোয়ার্টারের কম্বাইন্ড প্ল্যানিং গ্রুপ এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সেও কাজ করেছেন।

ইরাকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে আতাউল হাকিম দায়িত্ব পালন করেছেন একজন সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার হিসেবে। ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করা আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও ঢাকা কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের গ্র্যাজুয়েট সারওয়ার হাসান ব্রাজিলের স্টাফ কলেজে পড়তে গিয়ে পরে পর্তুগিজ ভাষাও শিখেছেন। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে তিনটি মাস্টার্স করা এই সেনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিকিউরিটি স্টাডিজে পিএইচডি করেছেন।

আমারসংবাদ/এআই