Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ফুটবলের বাতিঘর জুবায়ের

ডিসেম্বর ১, ২০২০, ১০:২৫ পিএম


ফুটবলের বাতিঘর জুবায়ের

তৃণমূল ফুটবলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। ফুটবলের পাইপলাইন যেন শক্ত হয়ে জাতীয় দলে অবদান রাখতে পারে সে জন্য তৈরি করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটার্স ফোরাম (বিএফএসএফ)।

যেখানে অংশগ্রহণ করে থাকে দেশের খুদে ফুটবলাররা। দেশের ফুটবলের জন্য এমনভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন শাহাদাৎ হোসেন যুবায়ের। স্বপ্ন দেখেন দেশের ফুটবল একদিন এগিয়ে যাবে বিশ্ব দরবারে। ক্রীড়াপ্রেমী যুবায়েরকে নিয়ে লিখেছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক রাজিবুল ইসলাম

বাবার সাথে ৯০ দশকের শুরুর দিকে ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা দেখতে আসার সময় ফেসবুকে নজরে পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের। সেই চিন্তা থেকেই তৈরি করা বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটার্স ফোরাম (বিএফএসএফ)। তারপর থেকেই ফুটবল নিয়ে কাজ করা।

গত পাঁচ বছরে দেশের ফুটবলের যে আন্দোলন তৈরি হয়েছে আর এর বিপরীতে যে সচেতনা দেখা যাচ্ছে দেশের মানুষদের মাঝে তা জিইয়ে রাখতে ও গতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটার্স ফোরাম (বিএফএসএফ)। যেটি এখন একটি আলোর প্রদীপের মতো। যেই প্রদীপে দেশেল ফুটবলের অন্ধকার দূর হবে।

দেশের উঠতি তরুণ প্রজন্মকে দেশের ফুটবরে আকৃষ্ট করতে এবং মাঠে দর্শক উপস্তিতি বাড়াতে বিভিন্ন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ উপলক্ষে ম্যাচ ইভেন্ট পরিচালনা করে বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটার্স ফোরাম। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৪ বিএফএসএফ একাডেমিক কাপ ফুটবল। পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে এই আসর চলবে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

যেখানে নতুন করে যোগ দিয়েছে ১২টি দল। এর আগেও দুইটি মৌসুম সফলতার সাথে শেষ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটার্স ফোরাম (বিএফএসএফ)। এই আসর থেকে তরুণ প্রতিভা বের করে আনা সম্ভব বলে মনে করেন ক্রীড়াপ্রেমী, টুর্নামেন্টের সম্পাদক ও বিএফএসএফের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন যুবায়ের।

আমার সংবাদকে যুবায়ের বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল সাপোটার্স ফোরাম (বিএফএসএফ) সবসময় নতুন প্রতিভা বের করে আনার কাজ করে। আর আমাদের প্রতিটি আসর থেকেই কিছু তরুণ ফুটবলার উঠে আসে। যারা বিভিন্ন ক্লাবে দারুণ ফর্ম নিয়ে খেলে থাকে। আর ভবিষৎতে এই খুদে ফুটবলাররাই হবে জাতীয় ফুটবল দরের পাইপলাইন।’২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয় স্বপ্নপূরণের। প্রথম বার ১২টি দল নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৪ একাডেমি কাপ ফুটবল শুরু হলেও এখন বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছে তারা।

আমার সংবাদকে যুবায়ের আরো বলেন, ‘দেশের ফুটবলার, কোচ, সংগঠন, সমর্তক, রেফারিদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মান জানাতে গত ২০১৫-১৬ ফুটবল মৌসুম থেকে আমরা চালু করি ‘বিএফএসএফ বিপিএল ফুটবল অ্যাওয়ার্ড।’ সেটি খুব সফলতার সাথে শেষ করি আমরা। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি আমাদের। সবার সহযোগিতায় এগিয়ে চলছি।

আমরা চাই এই একাডেমিগুলো থেকেই যেন ভবিষৎতে জাতীয় ফুটবল দলের ঘাটতি পূরণ হয়।’ এবারের আসরের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে বসুন্ধরা কিংস, সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। করোনার কথা মাথায় রেখে অনূর্ধ্ব-১৪ বিএফএসএফ একাডেমিক কাপ ফুটবলে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপদ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান শাহাদাৎ হোসেন যুবায়ের।

আমারসংবাদ/এআই