Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

জয়ের খোঁজে মুশফিকের ঢাকা

রাজিবুল ইসলাম

ডিসেম্বর ১, ২০২০, ১০:৩৫ পিএম


জয়ের খোঁজে মুশফিকের ঢাকা

ঢাকায় খেলা হচ্ছে কিন্তু জয় নেই ঢাকার। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপটা মেক্সিমতো ঢাকার জন্য একটা কালো অধ্যায়ও বটে। এখনো পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি মুশফিকের দলটি। জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন ভালো করলেও ব্যাটিং লাইন লড়বড়ে। আবার ব্যাটিংয়ে ভালো করলেও বোটিং লাইন নড়বরে।

আবার দুই ফরম্যাটে ভালো করলেও ভাগ্য সহায় থাকেনা এই দলটির। তাইতো হন্য হয়ে জয়ের দেখা খুজছেন না ঢাকা। আজকে দিনের প্রথম ম্যাচেই ঢাকার মুখোমুখি হবে রবিশাল। দুপুর দেড়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

দিনের অপর ম্যাচে রাজশাহীর মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বেক্সিমকো ঢাকা। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে পরাজয়ের পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ঢাকার দলটি হেরেছে জেমকন খুলনার কাছেও।

টানা তিন পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে লিগ শেষ করার শঙ্কা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে প্লে-অফ খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে একটি দল। বলা বাহুল্য, পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থাকবে যারা, তারাই বাদ পড়বে সবার আগে। ঢাকার এমন পারফরম্যান্সে হতাশ মুশফিক অবশ্য আশাবাদী, তার তরুণ দলটির সদস্যরা ভুল থেকেই শিক্ষা নেবেন।

মুশফিক বলেন, ‘এটা তরুণ একটা দল, তারা শিখবে। আশা করি দ্রুতই শিখবে। অন্যথায় এরকম হলে আমাদের টেবিলের তলানিতে থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে হবে।’ ঢাকার ভালো বোলিং সত্ত্বেও খুলনা জড়ো করেছিল ১৪৬ রান। মুশফিক অবশ্য মনে করেন, ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করার মতোই ছিল। শুরুতেই দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে দলের বিপদ বেড়েছে- বিষয়টি মেনে নিয়েছেন মুশফিকও, ‘বেসিক ঠিক না হলে আপনি কত সুযোগ সৃষ্টি করছেন তার কোনো মূল্য নেই। তবুও মনে করি ১৪৭ রান তাড়া করার মতো ছিল।

প্রথম ৩-৪ ওভারে অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছি আমরা। এরপর আর জুঁকি নিতে পারিনি।’ ব্যাটসম্যানদের প্রতি তাই মুশফিকের আহ্বান আরও দায়িত্বশীল হওয়ার। হতাশামাখা কণ্ঠে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল হতে হবে।

মনে রাখতে হবে এটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এবং প্রতি ওভারে সাড়ে সাত রান করে নিতে হবে। দ্রুত এসব থেকে শিখতে না পারলে আমাদের এর মূল্য দিতে হবে।’ দলের অধিনায়ক যখন মুশফিকুর রহিমের মতো বড় তারকা, বেক্সিমকো ঢাকার এমন ফলাফল মেনে নেয়ার মতো না হওয়াটাই স্বাভাবিক। দলের বোলিং নিয়ে খুশি থাকলেও ফিল্ডিংয়ের বেহাল দশা মেনে নিতে পারছেন না মুশফিক।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের অষ্টম ম্যাচে জেমকন খুলনার কাছে ৩৭ রানে হেরেছে মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকা। ম্যাচ শেষে স্পষ্টতই চাপা আক্ষেপ আর হতাশা ফুটে উঠল মুশফিকের চোখেমুখে। জানালেন, এমন পারফরম্যান্স অব্যাহত থাকলে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকেই আসর শেষ করতে হবে। মুশফিক বলেন, ‘বোলাররা এই উইকেটে দারুণ করেছে। আমার বোলিং ইউনিট নিয়ে আমি গর্বিত। নাসুম ও শফিকুল সত্য ভালো করেছে। আশা করি পরের ম্যাচে আরও ভালো করবে।

তবে ১৪৮ রান তাড়া করার মতই ছিল। জানতাম নতুন বলে কাজটা সহজ হবে না। ৬ ওভারে যদি কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করতে পারতাম তাহলে সহজেই জিততে পারতাম।’ ম্যাচে যেন মিস ফিল্ডিংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছিল ঢাকার তরুণ দলটি। ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে খুলনাও। মুশফিকের তাই আক্ষেপের শেষ নেই, ‘আমরা অনেক ক্যাচ হাতছাড়া করেছি, রান আউট হাতছাড়া করেছি।

খুলনার মত দলের বিপক্ষে আপনি এত সুযোগ হাতছাড়া করলে, বিশেষ করে যখন কিনা রিয়াদ ভাই ব্যাট করছে নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসে মেরে খেলা এত সোজা না। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছি। ফিল্ডিং বিভাগে আমরা অনেক তরুণ। তাই ক্যাচ হাতছাড়ার কোনো অজুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ নেই। ক্যাচ হাতছাড়ায় ২০-২৫ রান বেশি হয়েছে।’

আমারসংবাদ/এআই