Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

ফাইনালে আজ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০, ০৭:৪০ পিএম


ফাইনালে আজ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই

বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে ফাইনালে আজ লড়াই হবে শেয়ানে শেয়ানে। দুই দলেই আছে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। খুলনায় যেমন মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহ চট্টগ্রামে তেমনি সৌম্য-লিটন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে।

প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল খুলনা। আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে সাত উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে চট্টগ্রাম।

এই টুর্নামেন্টে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনবার দেখা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জয় পায় এক ম্যাচে। চট্টগ্রাম জয় পায় দুই ম্যাচে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে আসছে চট্টগ্রাম। লিগ পর্বে তারা মাত্র এক ম্যাচে হারে। অনেকে মনে করছেন, তারুণ্য নির্ভর এই দলটিই জিততে পারে শিরোপা।

তবে, খুলনাকেও পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে খুলনা। বোলাররাও দুর্দান্ত বোলিং করেন। মাশরাফি নেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে খুলনা করেছিল ২১০ রান। পরে চট্টগ্রাম ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

কিন্তু খুলনার জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে ফাইনাল ম্যাচে তারা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে পাবে না। পাঁচটি দল নিয়ে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। আট ম্যাচ খেলে তারা জয় পায় মাত্র দুই ম্যাচে।

অন্যদিকে, ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে প্লে-অফে ওঠে চট্টগ্রাম। আট পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে শেষ চারে ওঠে খুলনা। আট পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকে ঢাকা। ছয় পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশাল। এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার কাছে ৯ রানে হেরে বাদ পড়ে বরিশাল। আসরে সবার আগেই ফাইনাল নিশ্চত করে রেখেছে জেমকন খুলনা। দ্বিতীয় সেমিতে চমক ছিলো খুলনার সঙ্গী কে হবে?

সব অবসান ভেঙে ফাইনালে খুলনার সঙ্গী হলো চট্টগ্রাম। তাই বলাই যায় ফাইনালে হচ্ছে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। যোগ্য দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ ফাইনালে তারা। প্রথম সেমিফাইনালে বেক্সিমকো ঢাকাকে সাত উইকেটে হারিয়ে শিরোপার লড়াই নিশ্চিত করেছে মোহাম্মদ মিথুনের দল, যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় খুলনা। লক্ষ্যটা খুব বড় ছিলো না। লিটন দাশ ও মিথুনের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে পাঁচ বল বাকি থাকতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে যায়।

তিন উইকেটে তারা ১১৭ রান করে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলবে এই টুর্নামেন্টে ১০ ম্যাচ খেলে কেবল দুটি হারা চট্টগ্রাম। সপ্তম ওভারের শেষ বলে ৪৪ রানে লিটন ও সৌম্য সরকারের জুটি বিচ্ছিন্ন হয়। ২৩ বলে পাঁচটি চারে ২৭ রান করে বিদায় নেন সৌম্য।

পরে লিটনের সঙ্গে মিথুনের পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটিতে সহজ জয়ের পথ তৈরি করে চট্টগ্রাম। যদিও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি দুজনের কেউ। লিটন ৪৯ বলে চারটি চারে ৪০ রানে আউট হন।

মিথুনের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৭ রানের। লক্ষ্য থেকে ৯ রান দূরে থাকতে লিটন মাঠ ছাড়েন ৩৫ বলে ৩৪ রান করে। দল যখন জয়ের বন্দরে পৌঁছায়, তখন শামসুর রহমান ৯ ও মোসাদ্দেক হোসেন দুই রানে অপরাজিত ছিলেন।

মিরপুরে শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকা অলআউট হয় ১১৬ রানে। মোস্তাফিজুর রহমানের কারিশমায় ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ঢাকার কোনো ব্যাটসম্যানই ভালো করতে পারেননি।

এককথায় চট্টগ্রামের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে ঢাকা এই বড় ম্যাচে পথ হারায়। শেষ পর্যন্ত সহজ লক্ষ্য পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফাইনালে ওঠে চট্টগ্রাম।

আমারসংবাদ/এআই