Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যবিধি মানায় কঠোরতার বিকল্প নেই

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০, ০৭:৪০ পিএম


করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যবিধি মানায় কঠোরতার বিকল্প নেই

বিশ্বে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত মানুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি। পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৮। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৬ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৬০২। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৭০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ৯২৮ জন। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৭।

দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৯ জন। ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ১১ হাজার ৫২৭। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭৬ জন। তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। তুরস্ক ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। আর্জেন্টিনা দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।

মাঝখানে কিছুদিন করোনার প্রকোপ কমতে দেখা গেলেও বাংলাদেশে এক মাস ধরে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৩ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যু ছিল ৩০-এর নিচে।

এরপর ৩০-এর ঘর ছাড়ালেও এর নিচেও ছিল কয়েকদিন। অর্থাৎ দেশে ফের বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বর্তমান পরিস্থিতিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থাটি হচ্ছে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা।

কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে একধরনের অনীহাই যেন দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর বাজার ও শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। প্রকাশিত আরেক খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো যাত্রী আনা যাবে না, আনলে জরিমানার পাশাপাশি ফ্লাইট বন্ধ—এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও সনদ ছাড়া যাত্রী আসছে, আসছে করোনা পজেটিভ যাত্রীও।

এ অবস্থা চলতে থাকলে মহামারি ঠেকানো আসলেই কঠিন হবে। বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলছেন, আমাদের আক্ষরিক অর্থেই সব নিয়ম-কানুনের খুঁটিনাটি মেনে চলতে হবে। কোনোভাবেই ভাইরাল লোড অবহেলা করা চলবে না। অর্থাৎ করোনা প্রতিরোধে ‘নিউ নরমাল’ বা ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। যারা মৃদু আক্রান্ত হয়েছেন বা লক্ষণহীন, তাদেরও সাবধান হতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই এ রকম মৃদু বা লক্ষণহীন। তাই আমাদের দেশের বিপদ থাকছেই। পুরো শীতকালের সময়টা সবাইকে খুবই সাবধানে থাকার ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আগামী দিনগুলোতে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যু প্রতিরোধে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মানতে হবে। সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আমাদের নাগরিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সবার সচেতনতায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আমারসংবাদ/এআই