Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

পদ্মাসেতু দৃশ্যমান: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত

জগদীশ মন্ডল

ডিসেম্বর ২১, ২০২০, ০২:১৫ এএম


পদ্মাসেতু দৃশ্যমান: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত

ধান-নদী-খাল— এ তিনে বরিশাল। অপরূপ সৌন্দর্য আর নয়নাভিরাম স্থানের কমতি নেই। অনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নানা ঐতিহ্যবাহী স্থান, এর সাথে পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ঘিরে যুক্ত হচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

সাগরবিধৌত ও নদীবেষ্টিত বরিশাল বিভাগের সঙ্গে একসময় সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ছিলো খুবই অনুন্নত। সড়ক পথে ফেরি পারাপার ছিলো বিড়ম্বনার। নৌপথেও যাতায়াতে আধুনিক ব্যবস্থা ছিলো না। আকাশ পথও ছিলো বিচ্ছিন্ন।

রেলগাড়ি তো স্বপ্নেও ভাবেননি দক্ষিণাঞ্চলবাসী। একারণেই অবজ্ঞার চোখে দেখা হতো বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বিএনপি দীর্ঘদিন সরকারে থাকায়ও এ অঞ্চলে বিএনপির প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি, এমনকি রাষ্ট্রপতি থাকলেও বরাবরই দক্ষিণাঞ্চল ছিলো অবহেলিত।

সেই অবহেলিত মানুষের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চল এখন পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ঘিরে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত।

ইতোমধ্যে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরে পণ্য ওঠানামা করছে, পায়রা বন্দরের অদূরে লালুয়া ইউনিয়নে এক হাজার একর আয়তনের এলাকা ঘিরে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরিশালে নির্মিত হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস, গড়ে উঠছে আইসিটি পার্ক (হাইটেক পার্ক), বিমানবাহিনীর রাডারকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়নের মেঘেরচর নামক এলাকাকে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর কল্যাণে সরাসরি রেলপথ যাবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল দিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত।

পর্যায়ক্রমে এ কাজ শেষ করা হবে। রেললাইন নির্মাণের জন্য সরকার থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে অধিকাংশ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।

এর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমেই অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে শুরু করেছে বরিশাল জেলার গ্রামগুলোসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। পায়রা সমুদ্রবন্দর আর কুয়াকাটার পর্যটনশিল্পকে ঘিরে বর্তমান সরকারের সময়ে শুরু হওয়া মেগা প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ অতীতে কল্পনাও করেননি এ অঞ্চলের মানুষ। সারা দেশে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এককালের অবহেলিত বরিশাল বিভাগের সর্বত্র উন্নয়নের জোয়ারে বদলে যেতে শুরু করেছে।

উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলমান বৃহৎ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথাপিছু আয়ের শহর হবে বরিশাল। চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অব্যাহত অগ্রগতিতে একসময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে এখন সারা দেশের আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়াকাটাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য আওয়ামী লীগের গত আমলে কলাপাড়া, হাজীপুর এবং মহিপুরের ফেরির পয়েন্টে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ২০১৮ সালে তিনটি সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শেষপর্যায়ে। এ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বরিশাল কুয়াকাটার সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে আর কোনো ফেরি থাকবে না।

করোনার মধ্যেও পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানিয়েছে, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লেগে যাবে। তবে বাংলাদেশের সরকার চেষ্টা করছে, স্বাধীনতার ৫০তম বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার। অর্থাৎ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করে যান চলাচল শুরু করতে চায়।

বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যেই সেতুটি চালু হবে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হতে ১০ মাস থেকে এক বছর লাগবে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর বরিশাল শুধু এগিয়েই যাবে না, চলে যাবে সামনের কাতারে। পর্যটনে কুয়াকাটা তথা বরিশাল হবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

অপরদিকে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলাচল করছে বিলাসবহুল অত্যাধুনিক নৌযান। কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সময়ে বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান ছাড়াও চলাচল করছে বেসরকারি ইউএস বাংলা এবং নভো এয়ারের বিমান।

শুধু তাই নয়, দ্রুত কুয়াকাটা এবং পায়রাবন্দরকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মধ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য গত বছরের ১১ অক্টোবর একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।

শেখ হাসিনা সরকারের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নে চলমান প্রকল্প ছাড়াও প্রস্তাবিত বরিশালের আগৈলঝাড়া ও ভোলায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, ভোলা-বরিশাল সেতু, পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভোলার গ্যাস বরিশালে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে বরিশাল বিভাগজুড়ে ব্যাপক হারে গড়ে উঠবে দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

এছাড়া একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখার বিরল সুযোগ রয়েছে জাপানে। ঠিক একই সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়। সাগরকন্যা কুয়াকাটায় এখন উন্নতমানের অসংখ্য হোটেল ও রেস্টুরেন্ট হয়েছে। যেকোনো পর্যটক স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়াতে পারছেন কুয়াকাটায়।

শুধু পর্যটনই নয়, বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে পায়রা। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে এই সমুদ্রবন্দরটি দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র বদলে দেবে। পাশাপাশি মাদার ভেসেল নোঙ্গরের সুবিধাসহ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের চেয়েও আধুনিক মানের হিসেবে গড়ে তুলতে পায়রার বিভিন্ন অংশের নির্মাণকাজ চলছে। পায়রাবন্দরে কন্টেইনার টার্মিনাল, এলএনজি টার্মিনাল, বাল্কহেড টার্মিনাল, শিপইয়ার্ড, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।

শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে তৈরি হবে দেশের প্রতিটি গ্রাম। উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রতিটি গ্রাম হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা হিসেবে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হবে দেশের গ্রামগুলো।

উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলমান উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথাপিছু আয়ের শহর হবে বরিশাল। এমনিতেই সিঙ্গাপুরের মতো আলাদা নির্ভরতা রয়েছে বরিশালের। পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় অগ্রাধিকারের সমৃদ্ধ অর্থনীতি পাবে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলাও।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অর্থনৈতিক শুমারির বরাতে বরিশাল বিভাগে ৪৫ হাজার ৭৩৫টি উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক ইউনিট রয়েছে। যা সিলেট ছাড়া বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে সিলেট বিভাগে গ্যাস থাকায় বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) বরিশাল জেলা কার্যালয়ের তথ্যের বরাতে এ জেলায় বড় ও মাঝারি শিল্প রয়েছে ১৫টি। ক্ষুদ্রশিল্প আছে এক হাজার ৯৫৫টি। কুটিরশিল্প রয়েছে ৯ হাজার ৭১৯টি। বরিশালে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা করেছে ফরচুন সুজ। বিসিক শিল্পনগরীতে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানায় প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

তাদের তৈরি জুতা রপ্তানি করা হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এ কারখানার কাঁচামাল সবই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। আবার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই জুতা ইউরোপে যায়। পায়রাবন্দর পুরোপুরি চালু হলে আমদানি ও রপ্তানিতে সময় কম লাগবে।

বরিশালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস আনার দাবি বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের। ভবিষ্যতে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে যত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে তার কেন্দ্র হবে বিভাগীয় শহর বরিশালে। এজন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে তারা।

এখানে ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী আছেন যারা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় শত কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন। গ্যাস এলে তারাই বরিশালে বিনিয়োগ করবেন তারা। বরিশাল শহর থেকে ভোলার দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ভোলায় প্রচুর গ্যাস পাওয়া গেছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভোলা থেকে বরিশালে গ্যাস আনা হলেই এ অঞ্চলে প্রচুর বিনিয়োগ হবে। উন্নত বিশ্বের ন্যায় দেশের প্রতিটি গ্রামকেই শহরের আদলে তৈরি করা হবে।

প্রতিটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামে বিদ্যুৎ, পানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নত স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আধুনিক রাস্তা ঘাট, মার্কেট, খেলার মাঠ, পার্ক এবং বিনোদনকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। প্রাপ্য সকল নাগরিক সুবিধা দিয়ে তৈরি করতে হবে ‘মডেল গ্রাম’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী উন্নত বাংলাদেশ গঠনে তার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে এমন আধুনিক সুবিধাযুক্ত গ্রাম গড়ে তুলতে পারলেই গ্রাম হবে শহর। শহর ও গ্রামের ব্যবধান ঘোচাতেই এমন উদ্যোগের মাধ্যমে ‘গ্রাম হবে শহর’ পরিকল্পনা ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়নের দিকেই এগোচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে পাল্টে যেতে শুরু করেছে এক সময়ের অবহেলিত গ্রামীণ জনপদ। যার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা।

লেখক : সংবাদিক

আমারসংবাদ/এআই