Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

রাজধানীর ২৬ খালের দায়িত্ব হস্তান্তর: আশা করি জলাবদ্ধতা নিরসন হবে

জানুয়ারি ১, ২০২১, ০৭:০৫ পিএম


রাজধানীর ২৬ খালের দায়িত্ব হস্তান্তর: আশা করি জলাবদ্ধতা নিরসন হবে

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ২৬টি খালের দায়িত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে ওয়াসা, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে খালগুলো হাস্তান্তর করা হয়।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৮৮ সালের আগে ঢাকার খালগুলো তদারকি করত তৎকালীন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই খালগুলো ওয়াসার কাছে গেলো তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তাই এতদিন খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণে অনেকটা সমন্বয়হীনতা ছিলো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন ঢাকার ২৬টি খাল ওয়াসার কাছ থেকে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওই দুটি সংস্থা করবে। এতে নগরে আর জলাবদ্ধতা হবে না।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় নাগরিকসেবা বাড়াতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। একেক করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একটা সময় সিঙ্গাপুর বা উন্নত বিশ্ব নয়, ঢাকা শহরের সৌন্দর্য নিয়েই উদাহরণ দিতে পারবেন দেশের জনগণ।’

আবার ঢাকা মহানগরীর তিন খাল ও দুই বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম আজ শনিবার থেকে শুরু করা হবে বলে ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় তারপরের দিন শনিবার থেকেই আমরা প্রাথমিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। জিরানি খাল, মাণ্ডা খাল ও শ্যামপুর খাল এবং পান্থপথ বক্স কালভার্ট ও সেগুন বাগিচা বক্স কালভার্টের বর্জ্য অপসারণের বিশাল কর্মযজ্ঞ আমরা হাতে নিয়েছি। আগামী মার্চের মধ্যে এই তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্টের বর্জ্য অপসারণ করার কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে বৃষ্টি হলেই খালের পানি নেমে যেতো। কিন্তু এখন বৃষ্টির কয়েক ঘণ্টা পরও রাস্তা থেকে পানি নামে না। তাই নিজ উদ্যোগে ডিএনসিসির অধীনে থাকা সবগুলো খাল তারাও (ঢাকা ওয়াসা) পরিষ্কার করেছে। তাই চলতি বছর নগরে জলাবদ্ধতা হবে না।

এছাড়া এসব খালের সৌন্দর্য বাড়াতে তারাও প্রকল্প নিয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে আমরা আশা করি, এ বছরের মধ্যেই রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর হবে। দুই সিটি কর্পোরেশনকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে পালিত হবে। খাল তদারকির দায়িত্ব পালনে অর্থের যোগান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তবে দুই সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে তারা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকল্প নির্ভর কাজ করতে চান না, এজন্য তারা নিজ অর্থায়নে কাজগুলো আরম্ভ করছে। কাজে গতি আনার জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ।

এছাড়া বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি খালগুলোর বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। খালগুলোর সীমানা পুনঃনির্ধারণসহ অবৈধ সব দখল উচ্ছেদের পর সেই জায়গাগুলোর সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

আমারসংবাদ/এআই