Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনা মোকাবিলায় খরচ বাড়লো ৫৬৫৯ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৫, ২০২১, ০৯:১০ পিএম


করোনা মোকাবিলায় খরচ বাড়লো ৫৬৫৯ কোটি টাকা

করোনা মোকাবিলায় প্রকল্পটি সংশোধন করে খরচ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। এতে খরচ বাড়লো পাঁচ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিলো এক হাজার ১২৮ কোটি টাকা।

গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেন্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেসসহ ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। বাকি অর্থ বৈদেশিক ঋণ পাঁচ হাজার ৭০১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। সভায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাব তোলা হলে প্রধানমন্ত্রী ওই প্রকল্পের মেয়াদ বারবার বাড়ানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই প্রকল্পটি অনুমোদন না দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমোদিত নীতিমালা সর্বসাধারণের বোধগম্যভাবে সারসংক্ষেপ আকারে প্রণয়ন এবং ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার একটি সহজবোধ্য ফ্লো-চার্ট তৈরি করতে হবে। প্রতি উপজেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে প্রচারের জন্য ব্যানার, মাইকিং ও প্রকাশনা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে হবে।

প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য একটি করে মোট দুটি মোবাইল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ভ্যানের সংস্থান রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্বৈততা পরিহারপূর্বক গঠিত ১০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং ১০টি জেলায় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রকল্পের মোট খরচের মধ্যে সরকার দেবে ১৭২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রথমে সরকারের দেয়ার কথা ছিলো ২৭৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ প্রকল্পে সরকার এখন ১০৫ কোটি ছয় লাখ টাকা কম দেবে। এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবির ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।

কারণ প্রকল্পে প্রথমে বিদেশি ঋণ ছিলো ৮৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭৬৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুনে বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো— বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১০৪ কোটি টাকা। সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৮ কোটি টাকা। ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং জরুরি যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।

জেলার মহাসড়কসমূহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। এছাড়া সভায় চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পটিরও অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।

আমারসংবাদ/জেআই