Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

অভিভাবক যখন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৫, ২০২১, ১০:০৫ পিএম


অভিভাবক যখন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার

বাংলাদেশ পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার সামাজিক, মানবিক ও উৎসাহমূলক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে মানবিক পুলিশ সুপারখ্যাত মো. জাহিদুল ইসলাম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে একের পর এক গণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের সংবাদ ধ্বনিত হচ্ছে। অসহায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধীসহ সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ প্রতিদিনই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তাদের নিজের কিছু কথা একান্তে বলার জন্য ছুটে আসেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. হারুন বিশ্বাসও (৫২) এসেছিলেন নিজের দৈন্যতার কথা পুলিশ সুপারের কাছে বলার জন্য।

মো. হারুন বিশ্বাস (৫২), পিতা- সামসুল বিশ্বাস, মাতা- মোছা. কহিনুর বেগম, সাং-সুমিরদিয়া (বলাকাপাড়া), ২নং ওয়ার্ড, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।

দরিদ্র হারুন সামান্য আয়-রোজগারে কোনোমতে সংসার চালাতেন। কিন্তু হঠাৎ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কর্মক্ষম হারুন হয়ে পড়েন শারীরিক প্রতিবন্ধী। অর্থনৈতিক দৈন্যতা তাকে চরমভাবে অসহায় করে তুললেও ভিক্ষাবৃত্তিতে তার মন কোনো দিন সায় দেয়নি। নিজের কোনো পুঁজি ছিলো না যা দিয়ে সে কোনো ব্যবসা করতে পারে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার তার মমত্ববোধ থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী হারুনের পাশে দাঁড়ালেন। প্রদান করলেন শীতের কম্বল, চশমা, গেঞ্জি, ঔষধ এবং কিছুটা স্বাবলম্বী করতে তার হাতে দিলেন নগদ টাকা ও পাঁচ কেজি চীনা বাদাম। এখন থেকে সে বাদাম বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবে।

পুলিশ সুপার বলেন, সমাজের সর্বস্তরের সামর্থ্যবান মানুষ যদি অসহায় সুবিধা বঞ্চিতদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেয়, তাহলে আমাদের সমাজে অসহায় মানুষের মুখেও হাসি ফোঁটানো সম্ভব। এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সকল বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

আমারসংবাদ/জেআই